যুবরাজ সিংহ রানে ফিরলেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও জিততে পারল না সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। প্রথমে ব্যাট করে সানরাইজার্স ১৮৫-৩ করার পরে পাঁচ বল বাকি থাকতে সেই রান তুলে দেয় দিল্লি ডেয়ারডেভিলস। দিল্লির হয়ে রান পেলেন কোরি অ্যান্ডারসন (২৪ বলে অপরাজিত ৪১)।
যে ম্যাচে হারের পরেও অবশ্য লিগ টেবলে তিন নম্বরে থেকে গেল সানরাইজার্স। ১১ ম্যাচে ডেভিড ওয়ার্নারদের সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট। দু’নম্বরে আছে কলকাতা নাইট রাইডার্স, ১০ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে।
দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের সঙ্গে ম্যাচে প্রথম দিকে চাপে ছিল সানরাইজার্স। ওয়ার্নার (৩০) এবং শিখর ধবন (২৮), দুই ওপেনার বড় রান পাননি। তিন নম্বরে নামা কেন্ উইলিয়ামসনও ফিরে যান ২৪ রান করে। সেখান থেকে ম্যাচটা ধরেন যুবরাজ। ৪১ বলে ৭০ রানে অপরাজিত থেকে যান তিনি।
এ বারের আইপিএলে শুরুটা ভাল করলেও ধারাবাহিক ভাবে বড় স্কোর করতে পারেননি যুবরাজ। কিন্তু দিল্লির সঙ্গে ম্যাচটা ব্যতিক্রম হয়ে দাঁড়াল। যুবরাজের ইনিংসে রয়েছে ১১টি চার, একটি ছয়। ২০১৪ সালে রয়্যাল চ্যালে়ঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে ৮৩ এখন পর্যন্ত আইপিএলে সর্বোচ্চ রান যুবরাজের। এ দিন তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করে গেলেন।
আরও পড়ুন: পাঁচ জয়ের ছন্দ নিয়ে ঝাঁপাতে চান স্মিথ
কোটলার উইকেট যে ব্যাটসম্যানদের স্ট্রোক খেলার পক্ষে প্রথম দিকে খুব একটা উপযোগী ছিল, বলা যাচ্ছে না। যে জন্য মাঝের দিকে রান রেটের গতি বিশেষ বাড়েনি সানরাইজার্সের। ম্যাচের পরে ওয়ার্নার বলছিলেন, ‘‘পিচে প্রথম দিকে সহজে শট খেলা যাচ্ছিল না। সমস্যা হচ্ছিল।’’
জাহির খান ফিট না থাকায় খেলছেন মহম্মদ শামি। দুর্দান্ত একটা ইয়র্কারে বাংলার পেসার ফিরিয়ে দেন ওয়ার্নার-কে। ৩৬ রান দিয়ে দু’উইকেট পেলেন শামি। কিন্তু ভয়ঙ্কর ওয়ার্নার-কে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্যই সম্ভবত তাঁকে ম্যাচের সেরা বাছা হল। শামি বলে গেলেন, ‘‘এই পারফরম্যান্স আমার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy