দু’দিন আগেই প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের কাছে হারের ধাক্কা সামলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩০৫-৬ তুলে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে রানের পাহাড় গড়া, তাও আবার তাদেরই মাঠে, মোটেই সোজা কাজ নয়। কিন্তু ঠান্ডা মাথায় ক্রিজে টিকে থেকে ইংরেজ ব্যাটসম্যানরা সুকৌশলে যে ভাবে ৪৬.৩ ওভারেই জয়ে পৌঁছে দিলেন দলকে। তার পর ইংল্যান্ডকে সম্ভাব্য সেমিফাইনালিস্ট বলতে বোধহয় এখন আরওই দ্বিধা করবেন না বিশেষজ্ঞরা।
বৃহস্পতিবার ওভালে তামিম ইকবালের অসাধারণ সেঞ্চুরি (১২৮) ও তাঁর সঙ্গে মুশফিকুর রহিমের (৭৯) ১৬৬ রানের পার্টনারশিপের পাল্টা দিলেন জো রুট (১৩৩) ও অ্যালেক্স হেলস (৯৫)। আর তাঁদের ১৫৯ রানের পার্টনারশিপ। আরও একটা পার্টনারশিপ গড়লেন রুট ও ইংল্যান্ড অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান (৭৫)। ১৪৩-এর এই পার্টনারশিপই ইংল্যান্ডকে আট উইকেটে জয় এনে দেয়। ওভালের ব্যাটিং স্বর্গে সারা দিনে উঠল ছ’শোরও বেশি রান। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নিতে আসা ব্যাটসম্যানরা এই ম্যাচের স্কোর দেখে নিশ্চয়ই স্বস্তি পেলেন কিছুটা, তাঁদের জন্যও এখানকার উইকেটে কিছু আছে, এই ভেবে। ভারতের বিরুদ্ধে একশোরও কম রানে অল আউট হওয়ার দু’দিন পরই বাংলাদেশের এই ঘুরে দাঁড়ানো অবশ্য প্রশংসাই দাবি করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ দিন সাড়াও ফেলে দেয় তামিম-মুশফিকুরদের এই উদ্যম। কিন্তু এই চেষ্টা শেষ পর্যন্ত দাম পেল না। বাংলাদেশের লড়াইয়ে ফেরাটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে অবশ্য। দলের ৩০৫ রানের মধ্যে ২০৭ রানই আসে তামিমদের ব্যাট থেকে।
আরও পড়ুন: বীরুর আবেদনে নাটকীয় মোড় কোচ কাজিয়ায়