প্রস্তুতি: মাঝমাঠে বিশেষ দায়িত্ব জাপানি তারকাকে। —ফাইল চিত্র।
আক্রমণের পাল্টা আক্রমণ চাইছেন সঞ্জয় সেন।
শনিবার ভাস্কোর তিলক ময়দানে তাঁর প্রতিপক্ষ চার্চিল ব্রাদার্স। যারা শেষ দু’ম্যাচে সাত গোল করার পাশাপাশি হারিয়েছে ডিএসকে শিবাজিয়ান্সকে। সতর্ক মোহনবাগান কোচ সঞ্জয় তাই শুক্রবার সন্ধ্যায় টিমের ভিডিও অ্যানালিস্টকে নিয়ে বসে গিয়েছিলেন বিপক্ষের ভুলত্রুটি বের করতে।
মোহনবাগানের সেই বিশ্লেষণ অনুযায়ী, অ্যান্থনি উলফ, চেস্টারফিল্ড লিংডোদের নিয়ে সাজানো চার্চিলের আক্রমণভাগ যতটাই শক্তিশালী ততটাই দুর্বল রক্ষণ। শিবাজিয়ান্স ছাড়া সব টিমই গোল করেছে চার্চিলের বিরুদ্ধে। চার্চিল নড়বড়ে ‘ডেড বল’ পরিস্থিতির সময়।
মোহনবাগান কোচের তাই পরিকল্পনা শনিবার শুরু থেকেই আক্রমণে ঝড় তোলা। আর তার জন্য কাতসুমিকে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডেই শুরু থেকে খেলাতে চান তিনি। আর চার্চিলের উলফদের মাঝমাঠেই বন্দি করতে সঞ্জয়ের পরিকল্পনা—বল কাড়বেন বিক্রমজিৎ বা সৌভিক। আর সেই বল নিয়ে চার্চিল রক্ষণে হানা দেবেন কাতসুমি, সনি, প্রবীর, ডাফিরা। চার্চিল ব্রাদার্সকে বলবন্তের গোলে হারিয়েই এ বারের আই লিগ অভিযান শুরু করেছিলেন ডাফিরা। সেই অঙ্ক মাথায় রেখে আক্রমণে ডাফির সঙ্গে বলবন্তকেই জুড়ে দেওয়ার পরিকল্পনা। পরিবর্ত হিসেবে আসতে পারেন জেজে।
চার্চিলের নতুন কোচ ডেরেক পেরিরা গোয়া থেকে আত্মবিশ্বাসী সুরে বলেন, ‘‘পরিকল্পনা মতো খেলতে পারলে এই মোহনবাগানকে হারানো যায়!’’ যা আরও চড়া শোনায় চার্চিলের বাগান ফেরত উইঙ্গার ব্রেন্ডন ফার্নান্ডেজের গলায়। গত বছর মোহনবাগানের হয়ে এই গোয়াতেই চোট পেয়ে যিনি ছিটকে গিয়েছিলেন দল থেকে। প্রতিশোধ নিতে মরিয়া ব্রেন্ডন বলছিলেন, ‘‘মোহনবাগানকে হারালে যন্ত্রণাটা কমবে। ওরা অপরাজিত হলেও ওদের রক্ষণের দুর্বলতা জানি আমরা।’’
ন’ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে লিগ টেবলের তিন নম্বরে মোহনবাগান। চার্চিল সেখানে ১১ ম্যাচের পর ন’ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে। মোহনবাগান কোচ জানেন চার্চিল মরিয়া হবে ঘরের মাঠে। তাঁর কথায়, ‘‘অবনমনের আওতায় থাকা চার্চিল মরিয়া হবেই। আত্মতুষ্ট হতে চাই না।’’ সনি নর্দেও বলছেন, ‘‘ভালেন্সিয়ার চেয়ে ভাল দল চার্চিল। কাজেই জেতা মোটেই সহজ হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy