নারিনের অপেক্ষায় টিম কেকেআর। শুক্রবার ইডেনে। —নিজস্ব চিত্র।
সুনীল নারিন এখন কোথায়?
কলকাতায়।
তাঁর অ্যাকশন পরীক্ষার কী হল?
বৃহস্পতিবার হয়েছে, চেন্নাইয়ে।
প্র্যাকটিসে তা হলে এলেন না কেন?
গভীর রাতে এসেছেন। তাই হোটেলে বিশ্রাম নিচ্ছেন।
নারিনের রিপোর্ট কবে জমা পড়ছে?
শনিবার ঢুকে যাওয়া উচিত বোর্ড প্রেসিডেন্টের অফিসে।
কেকেআর সমর্থকদের চার প্রধান জিজ্ঞাস্য। নানাবিধ জল্পনার পর এ দিন যে চার প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল। আরও একটা ব্যাপার পরিষ্কার হয়ে গেল। আগামী ৮ এপ্রিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে কেকেআরের উদ্বোধনী ম্যাচে ক্যারিবিয়ান মারণ-স্পিনারকে পাওয়া যাবে কি না, আসন্ন আইপিএলেই বা তাঁর ভবিষ্যৎ কী, তা নাইটরা ইডেনে উদ্বোধনী ম্যাচে নামার অনেক আগেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে।
বিদেশিদের বাদ দিলে, নাইটদের বাকি টিম প্র্যাকটিসে নেমে পড়ল শুক্রবার থেকে। অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর এসে পড়েছেন। আইপিএল সেভেন ফাইনালের নায়ক মণীশ পাণ্ডেকেও দেখা গেল এ দিন পুরোদমে নেট সেশনে নেমে পড়তে। শোনা গেল, মর্নি মর্কেলের মতো নামী বিদেশিরা শহরে চলে আসছেন রবিবারের মধ্যে। বোলিং কোচ ওয়াসিম আক্রমও ঢুকবেন রবিবার।
কিন্তু সুনীল নারিন— তাঁকে এ দিন কোথাও দেখা গেল না। যা নিয়ে একটা সময় পর্যন্ত নাটকও চলল। বিকেল পর্যন্ত কেকেআর কর্তারা বলে গেলেন, নারিন গত রাতে শহরে ঢুকেছেন। কিন্তু চেন্নাই থেকে মোটেও নয়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে। দীর্ঘ বিমানযাত্রায় ক্লান্ত বলে শহরে থেকেও প্র্যাকটিসে আসেননি। কিছুক্ষণ পরে আবার বোর্ড কর্তাদের একজন বলে দিলেন, নারিন চেন্নাই গিয়েছিলেন। তাঁর অ্যাকশন পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে গত কালই। শনিবার যার রিপোর্ট বোর্ডে জমা পড়ছে।
নারিন নিয়ে চোরা উৎকণ্ঠা থাকলেও, আসন্ন আইপিএল অভিযান নিয়ে কেকেআর শিবির কিন্তু ফুরফুরে। পিচ এখনও পর্যন্ত সবুজ, তাতেও তেমন টেনশন নেই। টিমটা জানে গত বারের চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় প্রত্যাশার চাপ থাকবে। কিন্তু সঙ্গে এটাও বিশ্বাস করছে যে, তাতে শাপে বরই হবে! ‘‘সবচেয়ে বড় সুবিধে হল আমরা এ বার প্রথম থেকে ইডেনে নামার সুযোগ পাচ্ছি। গত বার দুবাই থেকে ফেরার পর ইডেনে নেমে বুঝেছিলাম তফাতটা কোথায়। বুঝেছিলাম ঘরের মাঠে খেলার সুবিধে কী,’’ এ দিন সন্ধেয় বলছিলেন শাহরুখের এক ‘বেবি নাইট’ সূর্যকুমার যাদব। কিন্তু এ বার? এ বার তো টিমে কারিয়াপ্পার মতো আরও বেশি নতুন মুখ। সূর্য মনে করেন, তাতে কোনও অসুবিধে তো হবেই না। বরং টিমের দাপট আরও বাড়বে। ‘‘জুনিয়রদের জন্য কেকেআরকে আদর্শ বলা যায়। গত বার যখন আমি এসেছিলাম মনে হত, কী হবে? কী ভাবে নতুন টিমে মানিয়ে নেব? পরে দেখলাম, এখানে অধিনায়ক থেকে বাকি সবাই কেউ বুঝতেই দেয়নি যে আমি নতুন। তাই এ বার যারা এসেছে তাদের নিয়ে চলতেও অসুবিধে হবে না। আমি নিজেও সেটা দেখব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy