পাঁচ নম্বর ডার্বিতে এসে প্রথম গোল করে শাপমুক্তি ঘটানোর পর বারো ঘণ্টাও কাটেনি। সোমবার সকালে টিম হোটেলে বসে সনি নর্দে বলে দিলেন, ‘‘আমি যে দিন ফর্মে থাকব সে দিন কেউ আমাকে আটকাতে পারবে না।’’
মোহনবাগান জনতার হার্ট থ্রব একথা বললেও তাঁর কোচ সঞ্জয় সেন মনে করেন, সনিকে আরও ধারাবাহিক হতে হবে। ডার্বি জেতার পর রাতে ফুটবলারদের কথা বলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন মোহনবাগান কোচ। কিন্তু মিডিয়ার অনুরোধে শিলং উড়ে যাওয়ার আগে শেষ পর্য্ন্ত কয়েকজন ফুটবলারকে কথা বলার অনুমতি দেন তিনি। সেবক রোডে টিম হোটেলের সামনে তো বটেই, ইউসা কাটসুমি, আজাহারউদ্দিন মল্লিকদের দেখতে বিমানবন্দরেও ছিল ভিড়। সঞ্জয় অবশ্য সোমবার সকাল থেকেই টিমের আত্মতুষ্টি আটকাতে মাঠে নেমে পড়েন। বলে দেন, ‘‘ডার্বি জেতার পর ফুটবলারদের বলেছি খেতাব না জিতলে এর কোনও মূল্য নেই। মাঠে যা হয়েছে ঠিক আছে, কিন্তু আর নয়।’’ তা সত্ত্বেও এ দিন ইস্টবেঙ্গলকে হারানো নিয়ে নানা প্রশ্নের সামনে পড়ে সঞ্জয় বলেন , ‘‘ইস্টবেঙ্গলের গোলে পাঁচ বার বল ঢুকতে পারত। তা হলে মোহনবাগান সমর্থকদের বহুদিনের পুরানো জ্বালা হয়তো কিছুটা মিটত। কিন্তু যা হয়নি তা বলে লাভ নেই।’’ সেখানেই ওঠে সনির দুর্দান্ত ফ্রিকিকে গোল করার প্রসঙ্গ। টিম গেমের দর্শনে বিশ্বাসী মোহনবাগান কোচ তখনই বলে দেন, ‘‘আমার হিসাব বলছে ও তিন বছরে তিনটে ফ্রি কিকে ওরকম গোল করেছে। এটা কিছুই নয়। সনি দেশের এক নম্বর বিদেশি ফুটবলার। ওকে সেট পিসে আরও গোল করতে হবে। সে জন্যই প্রতিদিন ওকে এবং কয়েকজনকে ফ্রিকিক মারা অনুশীলন করাই।’’
আরও পড়ুন: বিদেশি নিয়ে বিস্ফোরক মেহতাব
বুধবারই শিলং লাজং ম্যাচ। গতবার ডার্বি ম্যাচে হারের পর এই ম্যাচেই প্রথম আই লিগ থেকে মোহনবাগান থেকে ছিটকে যাওয়া শুরু। সে জন্যই প্রচন্ড সতর্ক পুরো মোহনবাগান। কর্তা থেকে কর্মী, তারকা ফুটবলার থেকে ম্যাসিওর সবাই ধরে নিয়েছেন ডার্বি জিতলেও পাহাড়ি টিমের বিরুদ্ধে জয় অত সহজ হবে না। সঞ্জয় নিজেও বললেন, ‘‘বাকি চারটে ম্যাচের মধ্যে তিনটেতে জিততেই হবে। না হলে খেতাব জেতা সম্ভব নয়। কিন্তু জেতা কী অত সহজ? শিলং বেশ ভাল টিম। শেষ ম্যাচেই শিবাজিয়ান্স কে হারিয়েছে।’’
সনি এ দিন বলছিলেন রুম মেট আজহারউদ্দিনকে তিনি বলেছেন, ‘‘একটা গোল করেছ বলে ফোকাস নষ্ট কোরো না। তোমাকে অনেক দূর যেতে হবে।’’ সনির কোচও বলছেন একই কথা, ‘‘ছেলেটা অকুতোভয়। লড়ে যেতে পারে। জেদ আছে। আরও একটু ঘষা-মাজা করতে হবে।’’ পাশাপাশি সঞ্জয়ের মন্তব্য, ‘‘বেঙ্গালুরু ম্যাচ থেকেই ঠিক করেছিলাম আজহারকে ডার্বিতে খেলাব।’’ তবে তিনি জানিয়ে দেন, সনি বা কাটসুমি নন তাঁর কাছে টিম গেমই আসল। ‘‘আমার কাছে মোহনবাগান সবার আগে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy