অস্ট্রেলীয় ওপেনের মেয়েদের ফাইনালকে আজ আমি দু’ভাবেই দেখছি। বোনের সঙ্গে দিদির লড়াই। আবার দিদির সঙ্গেও বোনের লড়াই। সেরিনাকে মেলবোর্নে ফাইনালে দেখে আমি অবাক নই। তবে ভিনাসকে দেখে অবাক তো বটেই। চোদ্দো বছর পরে কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যামের ফাইনালে ওঠা বিরাট ব্যাপার। বিশেষ করে সেই মেয়ে যদি ‘বু়ড়ি’ হওয়ার পাশাপাশি নানা চোট আর অসুস্থতার মধ্যেও কাটায়! এই টুর্নামেন্টে কিছু তিরিশ বছর বয়সীদের দাপট দেখাটা সত্যিই একটা ব্যাপার। সফল হওয়ার জন্য পঁচিশ বছরের হতে হবে, তার কোনও মানে নেই। পঁয়ত্রিশেও তুমি সফল হতে পারো, যদি সেরাটা খেলো।
তবে পারিবারিক উত্তরসূরি বা পূর্বসূরির বিরুদ্ধে খেলাটা সব সময় কঠিন। ভাবো, কোর্টে তোমার উল্টো দিকে যে লড়ছে, সে তোমার বোন বা ভাই। দিদি বা দাদা! কিন্তু আমার মনে হয়, উইলিয়ামস বোনেরা এই কঠিন অনুভূতি থেকে বাঁচার একটা রাস্তা বের করেছে। সেটা হল, একে অন্যের প্রতি যাবতীয় ভালবাসা লকাররুমে ফেলে রেখে কোর্টে ঢুকে নিজেদের স্কিল সবুটুকু উজাড় করা। ওদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার দীর্ঘ ইতিহাসে সেটা প্রমাণিত।
কাগজেকলমে শনিবার সেরিনা ফেভারিট। পাশাপাশি আজ জিতলে ওপেন যুগে স্টেফির ২২টা গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার বিশ্বরেকর্ড ভেঙে ২৩টা মেজর হবে সেরিনার। সে জন্য ভিনাসের চেয়ে সেরিনার চাপ সম্ভবত বেশি। ও মেয়েদের টেনিসের ইতিহাসের বিরুদ্ধেও এই ফাইনালটা খেলছে। নার্ভাস সিস্টেম একটু হলেও এই সময় কাঁপবেই। ভিনাস উল্টো দিকে ইতিমধ্যেই প্রত্যাশা পূর্ণ করে ফেলেছে। আমি নিশ্চিত, ও-ও এখানে ভাবেনি যে, আরও একটা গ্র্যান্ড স্ল্যাম ফাইনাল খেলবে! তবে ভিনাসের মধ্যে কিছু একটা আছে। শান্ত, প্রতিভাবান। প্রায় সেরিনার মতোই খেলে। ফাইনালে ভিনাস যেমনই খেলুক, সেটাই ওর অসীম সাহসের প্রতিচ্ছবি হবে। ও কখনও অস্ট্রেলীয় ওপেন জেতেনি। খুব ভাল বুঝতে পারছে, এটাই শেষ সুযোগ। তাই শেষ বিন্দু দিয়ে লড়বে।
তার পরেও সত্যি বলতে কী, সেরিনাই জিতবে বলে আমার বিশ্বাস। সেটা না হলে বড় বিস্ময় হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy