আসতে চেয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্রেসিং রুমে। ফাইনালের আগে সতীর্থদের তাতাতে। থাকতে চেয়েছিলেন ইডেনের ভিআইপি গ্যালারিতে। দলের হয়ে গলা ফাটাতে। কিন্তু সেই সুযোগ আর পেলেন না সুনীল নারিন। শনিবার রাতে বাবার মৃত্যুসংবাদ পেয়ে রবিবার ভোররাতে ফিরে গেলেন দেশে। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে তাই তাঁকে পাশে পেলেন না ডারেন স্যামিরা।
শনিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে বার্তা পাঠিয়ে নারিন ক্যারিবিয়ানদের ড্রেসিং রুমে প্রবেশাধিকার চেয়েছিলেন। তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী আইসিসি-র অ্যাক্রেডিটেশন বিভাগের কাছে তাঁর জন্য বিশেষ পরিচয়পত্রের আবেদনও জমা পড়েছিল। কিন্তু সে সবের আর প্রয়োজন পড়ল না। রবিবার ভোর রাতেই ত্রিনিদাদের পথে রওনা হয়ে গেলেন নারিন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্যতম সেরা অফস্পিনার আপাতত আইসিসি-র কড়া নজরে। তাঁর অ্যাকশন নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। সে জন্যই বিশ্বকাপের দলে নির্বাচিত হয়েও নিজেকে দল থেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। ক্যারিবিয়ান স্পিনার অবশ্য আইপিএলে খেলার জন্য দু’দিন আগেই কলকাতায় এসে পৌঁছেছিলেন। কিন্তু শুক্রবারই দেশ থেকে নারিনের কাছে খবর আসে, তাঁর বাবা মৃত্যুর মুখে। দুঃসংবাদটার জন্য তখনই তিনি মানসিক ভাবে তৈরি হয়ে যান বলে কেকেআর ম্যানেজমেন্ট সূত্রের খবর। তাঁর বিমান টিকিটও নাকি তৈরি রাখা হয়েছিল।
শনিবার রাতে মৃত্যুর খবর এসে পৌঁছতেই বিমানবন্দরের পথে রওনা দেন নারিন। কবে ফিরবেন তা অবশ্য বলে যাননি ক্যারিবিয়ান স্পিনার। এ দিন ইডেনে বিশ্বকাপ ফাইনালে উপস্থিত এক কেকেআর কর্তা জানান, ‘‘এই অবস্থায় ওকে জিজ্ঞাসা করাও যায় না ও কবে ফিরবে। তবে বলে গিয়েছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফিরে আসবে।’’ আগামী রবিবারই ইডেনে আইপিএলের প্রথম ম্যাচ কেকেআরের। দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে নারিন থাকতে পারবেন কি না, তা অবশ্য এই মুহূর্তে জানা নেই কেকেআর শীর্ষকর্তাদের। সিইও বেঙ্কি মাইসোর এই ব্যাপারে কোনও কথা বলতে না চাইলেও টুইট করেন, ‘‘নারিনের বাবার অকালমৃত্যুতে আমি শোকাহত।’’
রাতে কেকেআরের এক সূত্রের খবর, প্রথম ম্যাচে সম্ভবত খেলবেন নারিন। তবে এই ব্যাপারে এখনও চূড়ান্ত কিছু জানাননি তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy