ইস্টবেঙ্গল না ছাড়লে বা অন্য কোনও রাস্তায় সমঝোতা না হলে অবিনাশ রুইদাসের ইন্ডিয়ান সুপার লিগে খেলা কঠিন।
রবিবারের নিলামে তাঁকে কিনেছে নীতা অম্বানির পাড়ার টিম মুম্বই সিটি এফ সি। কিন্তু পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে তাতে সম্মানের লড়াইয়ে বিষয়টি আইন-আদালতে না চলে যায়! কারণ যুদ্ধটা আর লাল-হলুদ এবং তাদের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ বজবজের ফুটবলারের মধ্যে আবদ্ধ নেই। তা ঘুরিয়ে হয়ে দাঁড়িয়েছে ফেডারেশন বনাম আইএফএ-র। টোলগে ওজবে বা স্নেহাশিস চক্রবর্তীর চুক্তি-বিতর্কের সময় যা হয়নি।
প্রতিশ্রুতিমান ফুটবলারটি অবশ্য নিজেই পুরো বিষয়টি জটিল করেছেন নানা রকম মন্তব্য করে, আইএফএ-র সভা এড়িয়ে গিয়ে এবং তা গুরুত্ব না দিয়ে। বুধবারও প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির সভায় ডাকা সত্ত্বেও আসেননি দু’দিন আগের নিলামে আঠারো লাখ টাকায় বিক্রি হওয়া মিডিও। পরপর দু’বার এ রকম আচরণ করায় এবং রাজ্য সংস্থাকে এড়িয়ে সরাসরি ফেডারেশনের দ্বারস্থ হওয়ায় অবিনাশের উপর প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত বাংলার ফুটবল কর্তারা। তাঁকে শেষ বার ডাকা হচ্ছে কাল বৃহস্পতিবার। সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, ‘‘আমরা কারও পা থেকে ফুটবল কাড়তে চাই না। কিন্তু কোনও ফুটবলার বা তাঁর সঙ্গে থাকা কেউ আইএফএ-কে অসম্মান করবে এটাও হতে দেব না। বৃহস্পতিবার শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে অবিনাশকে।’’
অবিনাশ নিলামে বিক্রি হলেও তিনি কিন্তু আইএফএ-র নথিভুক্ত ফুটবলার। এবং রাজ্য সংস্থার নিয়মানুযায়ী চুক্তিবদ্ধ সব ফুটবলারের কাছে টোকেন থাকা বাধ্যতামূলক। এবং চুক্তির সময় সেটি ক্লাবকে দিতে হয়। ক্লাবের কাছে জমা থাকে সেটি। এ দিন সভায় উপস্থিত হয়ে ইস্টবেঙ্গল মাঠ সচিব দীপঙ্কর চক্রবর্তী দেখিয়ে যান তাঁদের কাছে অবিনাশের টোকেন আছে।
নীতা অম্বানির কোম্পানির কর্তারা ঠিক করেছিলেন অবিনাশের চুক্তিপত্রের সই সঠিক কি না, তা প্রমাণ করার জন্য ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠাবেন। সেটাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না আইএফএ। তাদের বক্তব্য চুক্তিপত্রের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল, টোকেন কার কাছে আছে সেটা দেখা। সংস্থার গঠনতন্ত্রে সেটাই আছে। ফেডারেশন এবং আইএসএল কর্তারা অবশ্য জোর দিচ্ছেন চুক্তিপত্রের উপর। উৎপলবাবু বললেন, ‘‘অবিনাশ আমাদের চুক্তিবদ্ধ ফুটবলার। আমাদের নিয়মেই ঠিক হবে ও কোথায় খেলবে।’’
অবিনাশ অবশ্য এ দিন ফোন ধরেননি। আইএফএ কর্তাদের ফোন করে কখনও বলছেন, হাওড়ায় বৃষ্টিতে আটকে গিয়েছি। কখনও আবার বলছেন, কাঁথিতে। মধ্যমানের একজন ফুটবলার, তাও বড়জোর ভাল খেলেছেন এক বছর। তাঁকে নিয়ে এ রকম বিতর্ক ওঠায় সবাই বিস্মিত। এ দিকে এরই মধ্যে নিলামে অবিক্রিত ফুটবলার নেওয়া চলছেই। ইস্টবেঙ্গল নিতে চলেছে গডউইন ফ্র্যাঙ্কো, উত্তম রাই ও অরূপ দেবনাথকে। মোহনবাহান চাইছে বিভান ডি মেলো এবং ডেঞ্জিল ফ্র্যাঙ্কোকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy