কুমার সঙ্গকারাকে ঘিরে টেস্ট সিরিজের পরিবেশ যতই আবেগরুদ্ধ হয়ে পড়ুক। তিনি নিজে যতই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ুন মঙ্গলবার গল মাঠে সাংবাদিক সম্মেলনে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় মনে করেন না ভারতের এ সব নিয়ে মাথা ঘামানোর কোনও প্রয়োজন আছে। স্টিভ ওয়র বিদায়ী সিরিজে যে মনোভাব দেখিয়েছিলেন, বারো বছর পর চান বিরাটের ভারত তাই দেখাক ক্রিকেটের আধুনিক প্রবাদপুরুষকে। এ দিন দুপুরে কলকাতা থেকে সৌরভ শুধুই সঙ্গা নিয়ে ফোন সাক্ষাৎকার দিলেন।
সঙ্গকারার ক্রিকেট থেকে তাঁর নিজের কোনও গুণ ধার করার উপায় থাকলে: ফাস্ট বোলিং খেলার জন্য ওই বাড়তি সময়।
মাহেলা বনাম সঙ্গা কে এগিয়ে: এটা বলা খুব মুশকিল। শ্রীলঙ্কার সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান এই দু’জনেই। কোনও সন্দেহ নেই। ও অর্জুন, অরবিন্দ যতই বলুন তারা এদের মতো খেলেনি। দু’জনের মধ্যে তফাত করা প্রায় অসম্ভব। আপনি খুব জোরাজুরি করছেন বলে মাহেলা ১৯। সঙ্গা ১৯.৫।
সর্বকালের সেরা আধুনিক এশীয় দলে তিন নম্বরে দ্রাবিড় না সঙ্গা: এটার উত্তর দিতে চাই না। আমি দু’জনকেই নেব। এক জন তিন খেলবে আর এক জন নীচে। কিন্তু কাউকেই বাদ দেওয়া যাবে না।
সঙ্গার প্রধান গুণ: ট্যালেন্ট ওই পর্যায়ের। প্লাস কী অফুরন্ত স্ট্যামিনা। কখনও যেন টায়ার্ড হয় না। কিপ করে উঠে এত লম্বা লম্বা ইনিংস খেলে। অনবদ্য। এখনও টিমটাকে টেনে যাচ্ছে। আমি একদমই সারপ্রাইজড নই যে সঙ্গা বলেছে এই সিরিজটা নিয়ে বিশাল কিছু নাচানাচি হোক ও চায় না। কারণ শ্রীলঙ্কাকে সিরিজ জিততে হলে ওই সঙ্গাকেই জেতাতে হবে।
উইকেটের পিছন থেকে স্লেজ করার অভ্যেস: হ্যাঁ সঙ্গা স্লেজিং তো করত। মাহেলাও করেছে একটা সময়। যত দূর মনে পড়ে সাউথ আফ্রিকা ওয়ার্ল্ড কাপে ওদের সঙ্গে আমাদের ম্যাচটায় আমার আর সচিনের একটা সেকেন্ড উইকেট পার্টনারশিপ হয়েছিল। তখন ওরা দু’জন অবিরাম বকে যাচ্ছিল। তবে গালাগাল দিত না। আইনের মধ্যে থেকে স্লেজিং।
সচিনের চেয়েও টেস্ট ক্রিকেটে গড় ভাল থাকার রহস্য: দু’জনেই যার যার দেশের গ্রেটেস্ট। শুধু খেলেছে দু’টো ডিফারেন্ট টিমের হয়ে। তবে সচিনের আমলে সচিনের টিম বিদেশে কঠিন পরিবেশে যে ক্রিকেট খেলেছে সেই টিম সাক্সেস কিন্তু সঙ্গকারার নেই। মুরলী আর একটা মাহেলা থেকেও নেই।
সঙ্গকারার উপযুক্ত বিদায় কী হতে পারে: প্রথম দু’টো টেস্ট জিতে সঙ্গার লাস্ট টেস্টেই শ্রীলঙ্কার সিরিজটা নিয়ে নেওয়া। এর চেয়ে ভাল বিদায় আর কী হতে পারে।
শ্রীলঙ্কায় জন্মানোয় উপযুক্ত মর্যাদা থেকে বঞ্চিত কি না: মনে করি না। পৃথিবীর যে প্রান্তেই ক্রিকেট খেলা হোক সেখানেই সবাই জানে ও কী আর অসম্ভব সম্মানও করে।
সৌরভ যদি কোহলি হতেন: আমার সেই স্টিভের সময় থাকা মনোভাব এতটুকু বদলায়নি। চলে যাচ্ছ। বিরাট প্লেয়ার, ভাল কথা। তোমাকে সব রকম সম্মান দেব। প্লেয়ার হিসেবে শ্রদ্ধা করব। কিন্তু মাঠের ভেতর ওটা চেও না। আমি কোহলি হলে দ্রুত ওর উইকেট ফেলে দিয়ে সিরিজ জেতার আপ্রাণ চেষ্টা করতাম। আমি শিওর বিরাট তাই করবে।
সঙ্গার আপাত যে দুর্বলতায় ভারত ঝাঁপাতে পারে: অত বড় প্লেয়ারের দুর্বলতা বলতে প্রায় কিছুই নেই। তবু সঙ্গাকে দীর্ঘ দিন দেখে আমার মনে হয়েছে ইনিংসের শুরুর দিকে যে বলটা বাইরের দিকে যায়, তাতে ও সামান্য প্রবলেমে থাকে। আমি একবার ক্যান্ডি টেস্টে ওকে ওই ভাবে আউট করেছিলাম। তার আগে গলে আমাদের সঙ্গে সেঞ্চুরি করল। কিন্তু পরেরটায় ওকে পেয়ে যাই। এমনিতে ওর ব্যাটিংয়ের মন্ত্রই হল সহজ ভাবে নিখুঁত থাকা। যার ভিত সলিড ফুটওয়ার্ক। স্পিনটাও দারুণ খেলে। বাট আমি কোহলি হলে একটা চান্স ইনিংসের শুরুতে নিতাম। ইশান্তকে এনে বলতাম, বলটা বাইরে বের কর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy