Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

মাঠের চেয়েও গার্সিয়াকে তাতাচ্ছে বিশাল যুবভারতী

যুবভারতীর হাজার-হাজার ভোল্টের আলোয় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কখনও বল নিয়ে কেরামতি দেখাতে ব্যস্ত। কখনও সতীর্থদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা। লুই গার্সিয়াকে হঠাত্‌ দেখলে মনেই হবে না যে, তিনি স্পেনের বাসিন্দা। বরং রাকেশ মাসি-মোহনরাজদের পাশে তাঁকে স্বদেশি ফুটবলারের মতোই যেন দেখাচ্ছে!

যুবভারতীতে প্রথম প্র্যাকটিসে গার্সিয়া। ছবি: উত্‌পল সরকার

যুবভারতীতে প্রথম প্র্যাকটিসে গার্সিয়া। ছবি: উত্‌পল সরকার

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০৩:০৭
Share: Save:

যুবভারতীর হাজার-হাজার ভোল্টের আলোয় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কখনও বল নিয়ে কেরামতি দেখাতে ব্যস্ত। কখনও সতীর্থদের সঙ্গে হাসি-ঠাট্টা।

লুই গার্সিয়াকে হঠাত্‌ দেখলে মনেই হবে না যে, তিনি স্পেনের বাসিন্দা। বরং রাকেশ মাসি-মোহনরাজদের পাশে তাঁকে স্বদেশি ফুটবলারের মতোই যেন দেখাচ্ছে!

সোমবার আটলেটিকো দে কলকাতা প্রথম অনুশীলন করল তাদের ঘরের মাঠ যুবভারতীতে। আর সেখানে নেমে শুরুতেই অ্যাস্ট্রোটার্ফ পরিদর্শন করে নিলেন গার্সিয়া।

কেমন লাগল যুবভারতীর কৃত্রিম টার্ফ? “খুব অসাধারণ বলতে পারব না। ঠিকঠাক। মোটামুটি।” একটু থেমে গার্সিয়া আরও যোগ করলেন, “তবে স্টেডিয়ামটা দারুণ। এত বড়। সুন্দর...। আমি তো ভাবছি, পুরো ভর্তি হলে কেমন দেখাবে স্টেডিয়ামটাকে। গোটা পরিবেশটাই বদলে যাবে।” গার্সিয়ার কথা শুনে মনে হল, টার্ফ নিয়ে সামান্য অস্বস্তি থাকলেও স্টেডিয়াম খুব মনে ধরেছে তাঁর। আর সেই উচ্ছ্বাস তাঁর চোখে-মুখে স্পষ্টও।

গার্সিয়াকে এ দিন শুধু ফুটবলার হিসেবেই নয়, টিমের এক জন অভিভাবকের ভূমিকায় দেখা গেল। নিজে ট্রেনিং তো করলেনই, মহম্মদ রফিক-মোহনরাজদেরও ট্রেনিংয়ে সাহায্য করলেন। সোমবারের প্র্যাকটিসে মূলত জোর দেওয়া হল পাওয়ার ট্রেনিংয়ে। সহনশীলতা এবং দম বাড়ানোর কৌশল। দলের ট্রেনিং নিয়ে পরিষ্কার ভাবে কিছু বলতে না চাইলেও গার্সিয়া শুধু বললেন, “ফিটনেসের দিক থেকে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। সবাই দারুণ কন্ডিশনে আছে। আমরা এখন শুধু মাঠে নামার জন্য অপেক্ষা করছি।”

কলকাতার আবহাওয়া নিয়েও সমস্যা নেই বলে জানিয়ে দিলেন গার্সিয়া। তাঁর কথায়, “স্পেন আর কলকাতার আবহাওয়াকে এক করতে গেলে তো আর ফুটবলই খেলা যাবে না এখানে। সেই নিয়ে আমি কোনও তুলনাও করতে চাই না। তবে একটা কথা বলতে পারি, এখানে খেলতে আমার কোনও অসুবিধা হচ্ছে না। আর আমাদের সব ম্যাচ তো রাতেই হবে। তা হলে আর সমস্যা কোথায়? এখানে আমি খুব মজা করছি।”

সোমবার রাতে আটলেটিকোর দে কলকাতার অনুশীলনে গিয়ে দেখা গেল, গার্সিয়া-ক্লাইম্যাক্সদের নিয়ে যখন ব্যস্ত দলের প্রধান কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস, তখন দলের সহকারী কোচ হোসে ব্যারেটো রিজার্ভ বেঞ্চের পিছনে গোলকিপার শুভাশিস রায়চৌধুরীকে নিয়ে পড়েছেন। গ্রিপিং অনুশীলন করাচ্ছেন। অনবরত বল মেরে চলেছেন তিনি। শুভাশিস দু’দিকে ঝাঁপিয়ে ধরছেন।

মঙ্গলবার চিমা ওকোরি একাদশের বিরুদ্ধে আটলেটিকোর দে কলকাতার প্রথম প্র্যাকটিস ম্যাচে শুভাশিস খেলবেন কিনা নিশ্চিত জানা নেই। তবে ব্যারেটো-সহ গোটা টিমটাকে দেখলে আপাতত একটাই কথা মনে হবে— চার্জড্‌!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE