কোয়ার্টার ফাইনালের পরে কি এই দৃশ্য দেখা যাবে ফোর্তালেজায়?
আমি এখনও ব্রাজিলের অপেক্ষায় আছি! আসলে উদ্যোক্তা দেশ এ বার বিশ্বকাপে যতটা ঝকঝক করবে বলে ভাবা হচ্ছিল, এখনও সেই ফর্মে পৌঁছয়নি। যত দিন না সেটা হচ্ছে, আমরা আসল ব্রাজিলকে দেখার অপেক্ষায় থাকব।
হতে পারে ঘরের মাঠে কোটি কোটি দেশবাসীর প্রত্যাশা মেটানোর চাপ নেইমারদের সাধারণ মানের পারফরম্যান্সের অন্যতম ফ্যাক্টর। যদিও এ বার ওদের বোঝা উচিত যে, ওরা কোয়ার্টার ফাইনাল উঠে পড়েছে। শুরুতেই ছিটকে পড়ার যে অসহ্য চাপ ছিল সেটা একটু হালকা হয়েছে। যার মানে, ওদের এখন ঝকঝকে টিমগেম খেলা উচিত।
কলম্বিয়ার সঙ্গে ব্রাজিল এর আগে চোদ্দো বার মুখোমুখি হয়ে মাত্র এক বার হেরেছে। সেটাও সম্ভবত বছর তেইশ আগে। সুতরাং ব্রাজিল আজ ফেভারিট। কিন্তু তার জন্য ব্রাজিলকে নিজেদের খেলার উন্নতি করতে হবে। দু’দলের মধ্যে শেষ চারটে ম্যাচই ড্র হয়েছে। যার মধ্যে তিনটেই গোলশূন্য ভাবে। তাই সাম্প্রতিককালের নিরিখে এই টুর্নামেন্টে আজই ব্রাজিল সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষের সামনে। হামেস রদ্রিগেজকে কী ভাবে নেইমাররা সামলায় তার উপর ম্যাচের ভাগ্য অনেকটা নির্ভর করছে।
এই বিশ্বকাপে বারবার সিস্টেমকে ছাপিয়ে ব্যক্তিগত দক্ষতার জয়গান হচ্ছে। লোকে আর্জেন্তিনা বা ব্রাজিল দলের চেয়ে বেশি করে আচ্ছন্ন মেসি বা নেইমার নিয়ে। সম্ভবত সাংবাদিক সম্মেলনে এদের বেশি করে দেখা যাওয়াটাও হাইপের কারণ। নিজেদের ক্যারিশমাতেই এরা সমস্ত মনোযোগ কেড়ে নিচ্ছে। গোলকিপারদের ক্ষেত্রে একই ব্যাপার ঘটা নিয়ে আমার অবশ্য কোনও অভিযোগ নেই। দেখে ভাল লাগছে যে, এ বার গোলকিপাররা মঞ্চের কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে অন্য সব বিশ্বকাপের চেয়ে বেশি। সম্ভবত এ বারের অ্যাটাকিং খেলা কিপারদের বেশি নজরে এনে দিচ্ছে। ওচোয়া, এনিয়েমা কিংবা টিম হাওয়ার্ডের মতো গোলকিপাররা যতটা বেশি প্রশংসা কুড়িয়েছে, ফুটবলে ততটা সচরাচর তোলা থাকে স্ট্রাইকারদের জন্য। নিজে গোলকিপার ছিলাম বলে যেটা দেখে আরও ভাল লাগছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy