Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

আমাদের ট্রফি জয় যতটা আনন্দের, জনসনের ফেরাটা ততটাই আতঙ্কের

রবিবার রাতে মুম্বইয়ের ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে থাকতে পেরে খুব তৃপ্ত লাগছে। যে ভাবে এটিএকে নিজেদের কাজটা মন দিয়ে করে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হল, ভেবে গর্ব অনুভব করছি। মাঝে কয়েকটা ম্যাচে আমরা আমাদের সেরা পারফরম্যান্সটা বার করে আনতে পারছিলাম না। প্রচুর কথাবার্তাও তখন কানে আসছিল। টিম স্পোর্টে যদি কখনও এ রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা হলে উচিত সবাই একটা ইউনিট হিসেবে থাকা। একের অন্যের সঙ্গে থাকা। আমরা সেটাই করেছি। প্লেয়াররাই সবচেয়ে ভাল বুঝতে পারে তাদের কখন কী করতে হবে।

সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়
শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৪ ০১:৩৬
Share: Save:

রবিবার রাতে মুম্বইয়ের ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে থাকতে পেরে খুব তৃপ্ত লাগছে। যে ভাবে এটিএকে নিজেদের কাজটা মন দিয়ে করে শেষ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন হল, ভেবে গর্ব অনুভব করছি। মাঝে কয়েকটা ম্যাচে আমরা আমাদের সেরা পারফরম্যান্সটা বার করে আনতে পারছিলাম না। প্রচুর কথাবার্তাও তখন কানে আসছিল। টিম স্পোর্টে যদি কখনও এ রকম পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা হলে উচিত সবাই একটা ইউনিট হিসেবে থাকা। একের অন্যের সঙ্গে থাকা। আমরা সেটাই করেছি। প্লেয়াররাই সবচেয়ে ভাল বুঝতে পারে তাদের কখন কী করতে হবে। তাই ব্যাপারটা প্লেয়ারদের উপরই ছেড়ে দেওয়া ভাল। ফাইনালে রবিবার টিমটা যা করল, তার পর নিশ্চয়ই প্রত্যেক কলকাতাবাসী এখন গর্ববোধ করছেন।

রবিবার আবার সম্পূর্ণ উল্টো একটা ছবি দেখা গেল ভারত থেকে বহু দূরে। ব্রিসবেনে। দ্বিতীয় দিনের পর যেখানে ভারতকে দেখে মনে হচ্ছিল ওরা টেস্টটা জিততে পারে, সেই ভারতই কি না ম্যাচটা চার দিনে হেরে শেষ করল! এই হারের পিছনে কয়েকটা ব্যাপার আমি তুলে আনব। প্রথম, টেস্টের দ্বিতীয় দিন সকালে মাত্র ৮৭ রানে ভারতের ছ’উইকেট চলে যাওয়া। অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচ থেকে হঠিয়ে দেওয়ার সম্ভাবনাটা ওখানেই হারাতে হয়। দ্বিতীয়ত, অস্ট্রেলীয় টেলএন্ডারদের স্কোরটা পাঁচশো পার করতে দেওয়া হল। যেখানে কি না মাত্র আড়াইশো রানের মধ্যে ওদের ছ’উইকেট চলে গিয়েছিল। তৃতীয়ত, চতুর্থ দিন সকালে ভারত আবার ৫ উইকেট হারাল মাত্র ৪১ রানে। যেটা করে অস্ট্রেলিয়াকে ওরা ঘাড়ে চেপে বসতে দিল। গত কয়েক বছরে বিদেশ সফরে ভারতের এটা চেনা সমস্যা। যা টিম ম্যানেজমেন্টকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আটকাতে হবে। আর ভারতকে যদি বিদেশ সফরে ভাল কিছু করতে হয়, তা হলে প্রথম সাত ব্যাটসম্যানের মধ্যে কয়েক জনকে প্রত্যেক বার বড় রান করতে হবে।

মিচেল জনসনকে ব্রিসবেন টেস্টের চতুর্থ দিন সকালের আগে মোটেও ভয়ঙ্কর মনে হয়নি। অতটা আগ্রাসী মনে হচ্ছিল না, ঠিকঠাক লাইনেও বল করতে পারছিল না। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ বলেছে যে, ভারতীয়দের স্লেজিং পুরনো জনসনকে ফিরিয়ে এনেছে। কারণটা যা-ই হোক, জনসনের ফিরে আসাটা কিন্তু ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের পক্ষে খুব ভাল ব্যাপার নয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

isl sourav ganguly johnson
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE