Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

আর্মান্দোকে আজ এগিয়ে দেওয়ার ম্যাচ বাগান কোচের

চ্যাম্পিয়নশিপের যুদ্ধে তিনি নেই। কিন্তু আছেন। প্রবল ভাবে আছেন। দশ বছর পর ফের শহরে আই লিগ আসবে কি না, তার অর্ধেক উত্তর যদি লুকিয়ে থাকে সুয়োকাদের পারফরম্যান্সে, তা হলে বাকি অর্ধেক লুকিয়ে রয়েছে তাঁর মগজাস্ত্রে! তিনি, মোহনবাগান কোচ করিম বেঞ্চারিফা। রবিবার আই লিগের ফিরতি পর্বের ম্যাচে শিল্টন পালদের প্রতিপক্ষ লিগ টেবলের শীর্ষে থাকা বেঙ্গালুরু এফসি। করিমের দল যাদের হারালেই চওড়া হবে যাদবপুর থেকে যোধপুরের ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের হাসি।

প্র্যাকটিসের ফাঁকে এক খুদে ভক্তের সঙ্গে করিম। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস

প্র্যাকটিসের ফাঁকে এক খুদে ভক্তের সঙ্গে করিম। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস

দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:৫৬
Share: Save:

চ্যাম্পিয়নশিপের যুদ্ধে তিনি নেই। কিন্তু আছেন। প্রবল ভাবে আছেন। দশ বছর পর ফের শহরে আই লিগ আসবে কি না, তার অর্ধেক উত্তর যদি লুকিয়ে থাকে সুয়োকাদের পারফরম্যান্সে, তা হলে বাকি অর্ধেক লুকিয়ে রয়েছে তাঁর মগজাস্ত্রে!

তিনি, মোহনবাগান কোচ করিম বেঞ্চারিফা। রবিবার আই লিগের ফিরতি পর্বের ম্যাচে শিল্টন পালদের প্রতিপক্ষ লিগ টেবলের শীর্ষে থাকা বেঙ্গালুরু এফসি। করিমের দল যাদের হারালেই চওড়া হবে যাদবপুর থেকে যোধপুরের ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের হাসি। ম্যাচটা মোহনবাগান বনাম বেঙ্গালুরু হলেও দু’দলের ফুটবলারদের অবচেতন মনে কোথাও না কোথাও থাকছে ইস্টবেঙ্গল। প্রবল ভাবে থাকছে।

শনিবার সকালে করিমের সাংবাদিক সম্মেলনে অবধারিত ভাবে উঠল প্রশ্নটা। রবিবার জিতে প্রতিবেশী ক্লাবকে লিগ জেতার সুযোগ করে দিতে পারবেন? মোহন কোচের জবাব, “ম্যাচটা খেতাব নির্ণয়ের নয়। প্রথম তিনে কারা থাকবে তার হদিশ দেবে।” করিমের কৌশলী উত্তর ব্যাপারটা স্পষ্ট না করায় একই প্রশ্ন আবার উড়ে এল। এ বার খোলস ছেড়ে বেরোলেন তিনি। “ইস্টবেঙ্গলকে আমাদের সহায়তা করার কিছু নেই। ওরা নিজেদের আই লিগ ভাগ্য নিজেরাই গড়ে নেবে।”

একুশ ম্যাচ শেষে বেঙ্গালুরুর পয়েন্ট ৩৮। সেখানে ২০ ম্যাচের পর আর্মান্দো কোলাসোর দলের নিঃশ্বাস পড়ছে সুনীল ছেত্রীদের ঘাড়ে ৩৪ পয়েন্ট। নবম স্থানে থাকা (২১ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট) মোহনবাগান ছুটির দিনে আই লিগে ‘উদ্যান নগরীর’ ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটিকে হারালেই অ্যাডভান্টেজ ইস্টবেঙ্গল।

আগের ম্যাচে গোয়ায় গিয়ে স্পোর্টিং ক্লুবকে হারানোয় এই মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসী বাগান। চার বিদেশিকেই ফিট অবস্থায় পাচ্ছেন করিম। মোহন কোচের চিমটি, “অ্যাওয়ে ম্যাচে বেঙ্গালুরুর সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স আহামরি নয়। চাপটা তাই ওদের।”

যদিও বেঙ্গালুরু অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী মানছেন না সে কথা। “চাপ কোথায়? আমাদের তিন পয়েন্ট চাই এই ম্যাচ থেকে,” বলছেন তিনি। বেঙ্গালুরু ক্ষুব্ধ মোহনবাগান প্রথামাফিক অতিথি দলের সাংবাদিক সম্মেলন আয়োজন না করার জন্য। পরে বাগান কর্তারা বিকেলে যুবভারতীতে তা আয়োজন করলেও সেখানে আসেননি বেঙ্গালুরুর কোনও প্রতিনিধি। তার জায়গায় ই-মেলে রবিবারের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সমীহ করে রবিন সিংহদের ব্রিটিশ কোচ ওয়েস্টউড বলছেন, “মরসুমের শেষে হাতে যেন একটা সাফল্য থাকে সে দিকেই ছেলেদের ফোকাস থাকতে বলেছি।”

করিম যেমন চনমনে পুরো ব্রিগেডকে পাচ্ছেন, তেমনই পুণের বিরুদ্ধে বাইরে থাকা বিদেশি ডিফেন্ডার ওসানো ও গোলকিপার পবনকুমারকে পাচ্ছেন বেঙ্গালুরু কোচ। ঘরের মাঠে লিগের এক নম্বর দলকে হারাতে করিম এ দিন ৪-২-৩-১ ছকে অনুশীলন করিয়ে দেখে নেন। চার ডিফেন্ডারের সামনে দুই রক্ষণাত্মক মিডিও ডেনসন ও জাকির। সামনে কাতসুমি, ক্রিস্টোফার, পঙ্কজদের আক্রমণাত্মক মিডফিল্ড। স্ট্রাইকারে অধিনায়ক ওডাফা। গোলে শিল্টন।

প্রথম পর্বে বেঙ্গালুরুতে ১-১ করে ফিরেছিল মোহনবাগান। সে দিন কাতসুমি পেনাল্টি নষ্ট করেন। রবিবার সেই খেদ কি গোল করে মেটাবেন? অনুশীলনের পর প্রশ্ন শুনে এক ছুটে সোজা তাঁবুতে ঢুকে পড়লেন বাগানের জাপানি বোমা। একটাই কথা, ‘নো কমেন্টস’।

কাতসুমি চুপ থাকলেও বাগানের এই ম্যাচে জয়ের জন্য সবুজ-মেরুন সমর্থকদের সঙ্গেই সরব লাল-হলুদ জনতা। কারণ ম্যাচটার দুই শীর্ষবিন্দু মোহনবাগান, বেঙ্গালুরু হলে তৃতীয় শীর্ষবিন্দু যে ইস্টবেঙ্গল। যারা না থেকেও পুরো দমে রয়েছে রবিবারের ম্যাচে।

রবিবার আই লিগ
মোহনবাগান-বেঙ্গালুরু এফসি (যুবভারতী, ৪-০০)
স্পোর্টিং ক্লুব-চার্চিল ব্রাদার্স (মারগাঁও, ৫-০০)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

debanjan bandopadhyay armando mohanbagan
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE