Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

কোটি টাকা ব্যয় নিয়ে ধোঁয়াশায় ক্লাবকর্তারা

মোহনবাগানের ফেন্সিং ভেঙে পড়ে আছে অনেক দিন। ইস্টবেঙ্গলের এরিয়ান-স্পোর্টিং ইউনিয়ন অংশের ফেন্সিংও খারাপ। মহমেডান মাঠেও খেলা হয় না বহুদিন। এই অবস্থায় কলকাতার তিন প্রধানকে পরিকাঠামো উন্নয়েনর জন্য এক কোটি টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অর্থ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রকে সঙ্গে নিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৪ ০৩:৩০
Share: Save:

মোহনবাগানের ফেন্সিং ভেঙে পড়ে আছে অনেক দিন। ইস্টবেঙ্গলের এরিয়ান-স্পোর্টিং ইউনিয়ন অংশের ফেন্সিংও খারাপ। মহমেডান মাঠেও খেলা হয় না বহুদিন। এই অবস্থায় কলকাতার তিন প্রধানকে পরিকাঠামো উন্নয়েনর জন্য এক কোটি টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অর্থ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রকে সঙ্গে নিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি বলেন, “ক্লাবগুলি যাতে বিভিন্ন ধরনের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ করতে পারে, তার জন্যই ক্রীড়া দফতরের পক্ষ থেকে ওই অনুদান দেওয়া হবে।” সুব্রতবাবু জানান, পূর্ত দফতর ওই সমস্ত উন্নয়নমূলক কাজগুলি করবে।

২০১১ সালে বর্তমান মন্ত্রিসভা ক্ষমতায় আসার পর এক কোটি টাকা করে অনুদান দিয়েছিল তিন প্রধানকে। সেই টাকায় ক্লাবেরা নিজেরাই নানা রকম উন্নয়নের কাজ করেছিল। ইস্টবেঙ্গল গ্যালারির নিচে জিম, কনফারেন্স রুম হয়েছে। মোহনবাগান গ্যালারি তৈরি করেছে। মহমেডান তাঁবু ও মাঠের উন্নতি করেছিল। কিন্তু এ বার সব কিছুই হবে পি ডব্লিউ ডি-র তত্বাবধানে। কিন্তু কোন অংশের উন্নয়নের জন্য ব্যয় হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ইস্টবেঙ্গলের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার বললেন, “আমি যতদূর জানি ওটা ফেন্সিং ঠিক করার জন্য ব্যয় হবে। আমাদের নিজেদের অংশের কাজ বাকি নেই। অন্য ক্লাবের অংশের হাল খারাপ। ওটা হলে আই লিগের ম্যাচ করার যাবে। মঙ্গলবারই নিজেদের মাঠে আই লিগ করার জন্য আমরা আবেদন করেছি।”

এই অর্থ দিয়ে ফেন্সিং ছাড়া কিছু করা যাবে না, জানেন না মোহনবাগান সচিব অঞ্জন মিত্র। তিনি বললেন, “আমাদের গ্যালারির নিচে জিম, ড্রেসিংরুম-সহ যে কাজ বাকি আছে সেগুলো করব।” কিন্তু আপনাদের মাঠের ফেন্সিংয়ের হাল তো সব থেকে খারাপ। সেটার কী হবে? অঞ্জনবাবু বললেন, “ওটার জন্য অনেক আগেই আবেদন করেছি পিডব্লিউডি-র কাছে।” তবে শুধু ফেন্সিং করার জন্যই টাকা বরাদ্দ হচ্ছে মানতে নারাজ তৃণমূল সাংসদ সুলতান আমেদ। দিল্লি থেকে ফোনে বললেন, “আমরা তো টাকা দিয়ে আমাদের ইলিয়ট রোডের মেস করব। বয়সভিত্তিক দলের জন্য একটা মাঠ কিনব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE