এশিয়া কাপের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের সঙ্গে জিতলেও বিরাট কোহলির টিমের কপালে জুটছে সমালোচনাই। আক্রমণ করছেন স্বয়ং সুনীল গাওস্কর। নিয়মরক্ষার ম্যাচেও চেতেশ্বর পূজারা এবং ঈশ্বর পাণ্ডের মতো ক্রিকেটারদের রিজার্ভ বেঞ্চে বসিয়ে রাখাটা মানতে পারছেন না গাওস্কর। বলে দিচ্ছেন, “আফগানিস্তান ম্যাচেও হারার ভয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে না পারার চেয়ে বড় লজ্জা কিছু হতে পারে না।”
টিমের প্রথম একাদশে রদবদল না করলেও কোহলি ব্যাটিং অর্ডারে বদল এনেছিলেন। আফগানিস্তানকে ১৫৯ রানে অল আউট করে দিয়ে ভারত ইনিংস শুরু করে অজিঙ্ক রাহানে এবং শিখর ধবনকে দিয়ে। রাহানে ৫৬ এবং ধবন ৬০ তুলে দেওয়ার পর আট উইকেটে ম্যাচ জেতে ভারত। কিন্তু তাতে ক্রিকেটমহল আদৌ প্রভাবিত হয়েছে বলে মনে হয় না। গাওস্কর তো ম্যাচ শুরুর আগে ম্যানেজমেন্টের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন, “কেন ব্যর্থ ক্রিকেটারদের খেলিয়ে যাওয়া হচ্ছে? এতে আত্মতুষ্টি বেড়ে যায়। পূজারা-পাণ্ডেকে না খেলিয়ে কি টিম বোঝাতে চাইছে, ওরা দলে আসার যোগ্য নয়? মনে হয়, বদলি প্লেয়াররা ভাল খেললে পছন্দের ক্রিকেটারদের দলে ফেরা কঠিন হবে, এই ভয়টা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত।”
ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট কেন রিজার্ভ বেঞ্চকে খেলানো না, তার ব্যাখ্যা অবশ্য পাওয়া যায়নি। ম্যাচের পর কোহলি বলেন, “যখন আপনি টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছেন আর টানা ঘুরছেন, তখন টিমকে তাতানো কঠিন হয়ে যায়। গত কাল রাতে আশা করছিলাম, বাংলাদেশ জিতবে। সেটা হয়নি। তবে রিল্যাক্সড হয়ে খেলতে নামাটা বেশ কাজে দিয়েছে। অন্য ম্যাচগুলোয় আমরা খুব টেনসড ছিলাম।”
এ দিন আফগানিস্তান শুরুটা ভাল করলেও ভারতীয় স্পিনারদের সামনে আটকে যায়। রবীন্দ্র জাডেজা (৪-৩০) এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিন (৩-৩১) শেষ করে দেন আফগান ব্যাটিং। ম্যাচের সেরা জাডেজা বলেন, “খেলার আগে ডানকান (ফ্লেচার) বলেছিলেন, এই ম্যাচটাও ওয়ান ডে হিসেবে রেকর্ড বইয়ে জায়গা পাবে। তাই সিরিয়াস হয়ে নামো। আমরা সে মতোই খেলেছি।”
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান ১৫৯ (নুর জাদরান ৩১। জাডেজা ৪-৩০, অশ্বিন ৩-৩১)।
ভারত ১৬০-২ (ধবন ৬০, রাহানে ৫৬)।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy