ফেড কাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগের দিন প্র্যাকটিস মাঠ নিয়ে ফের ঝামেলায় পড়ল মোহনবাগান। কখন সনি-বোয়ারা অনুশীলনে আসবেন, গোয়া ফুটবল ফেডারেশন তা মাঠ কর্তৃপক্ষকে না জানানোয় পুরো বাগান টিমকে দাঁড়িয়ে থাকতে হল দীর্ঘক্ষণ। মাঠের গেটের সামনে প্রায় আধঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকল সঞ্জয় সেনের টিম। দীর্ঘ দিন গোয়ায় খেলা বেলো রজ্জাক উদ্যোগ নিয়ে কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়েসুঝিয়ে সমস্যার সমাধান করলেন বটে, তবে ফেডারেশনের অপেশাদারিত্ব তাতে ঢাকা পড়ছে না। বরং আরও প্রকট।
বিমানবন্দর লাগোয়া ভেরনার নাগোয়া মাঠটা পরিচালনা করে সেখানকার পঞ্চায়েত। ম্যানেজার্স মিটিংয়ে বাগান কর্তাদের জানানো হয়েছিল ওই মাঠেই দল রোজ প্র্যাকটিস করতে পারবে। এ দিন নির্ধারিত সময় সকাল দশটায় সেখানে কিংশুক-লালকমলদের টিম বাস পৌঁছেও যায়। পুরো টিম প্র্যাকটিসে নামতে যাবে তখনই মাঠ পরিচর্যার ভারপ্রাপ্ত পঞ্চায়েত সদস্য অ্যাঞ্জেল এসে বলেন, “মাঠের তো বুকিং নেই। কেউ জানায়ওনি এখানে মোহনবাগান প্র্যাকটিস করবে। এখন প্র্যাকটিস করতে দেওয়া যাবে না। মাঠে জল দেওয়া চলছে।”
যা শুনে বাগান কোচ অবাক হয়ে যান। তিনি পুরো ব্যাপারটা ছেড়ে দেন ম্যানেজার প্রতীম রায় ও লোকাল ম্যানেজারের উপর। শুরু হয় ফোনাফুনি। তাতেও কিছু হয়নি। দেখা যায়নি জিএফএর কাউকে। বিরক্ত হয়ে ওঠেন সনি নর্ডি। বাগানের বিদেশি তারকা স্ট্রাইকারকে বলতে থাকেন, “গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে এ রকম হলে তো সমস্যা। প্রস্তুতির ব্যাঘাত ঘটে।” ফেডারেশনের ফতোয়া থাকায় টিমের অন্য ফুটবলাররা কথা বলতে চাননি।
একটা সময় মনে হচ্ছিল, প্র্যাকটিসই হবে না। মহা চিন্তিত দেখা যায় কোচ সঞ্জয়কে। শেষ পর্যন্ত সমস্যা সমাধানে মাঠে নামেন টিমে নতুন যোগ দেওয়া স্টপার বেলো। যাদের মাঠ সেই প্যাক্স অব নাগোয়া ক্লাবের হয়ে আই লিগ টু-তে দীর্ঘ দিন খেলেছেন বাগানের নাইজিরিয়ান ডিফেন্ডার। ফোনে তিনি বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলার পর কর্তৃপক্ষ রাজি হন। সব কিছু হয়ে যাওয়ার পর আসেন জিএফএর এক কর্মী। ততক্ষণে নর্ডিরা মাঠে নেমে পড়েছেন। এর পর বাগানের প্রায় দেড় ঘণ্টার প্র্যাকটিস নির্বিঘ্নে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy