অমিত শাহের সভায় যেতে না দেওয়ার জন্য দু’দিন আগে থেকেই বিজেপি কর্মীদের হুমকি-মারধর, পোস্টার ছেঁড়ার আঙুল উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বর্ধমান ও বীরভূমের বহু এলাকায় শনিবার রাতে তাণ্ডব শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ।
কাল, মঙ্গলবার বর্ধমানের বড়নীলপুরে সভা করবেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। বিজেপি নেতাদের দাবি, সেই সভা যাতে সফল না হয়, সে জন্য উঠেপড়ে লেগেছে তৃণমূল। এর প্রতিবাদে রবিবার বর্ধমান শহরে একটি মিছিলও করে বিজেপি। তৃণমূলের বর্ধমান জেলা সভাপতি (গ্রামীণ) তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের পাল্টা বক্তব্য, “সভা সফল হবে না বুঝে আগেভাগে এ সব মিথ্যে অভিযোগ করছে বিজেপি।”
বর্ধমানের কাঁকসায় আমলাজোড়া গ্রামে শনিবার রাতে ও রবিবার সকালে এক বিজেপি কর্মী ও তাঁর দুই ছেলেকে তৃণমূলের লোকজন মারধর করে বলে অভিযোগ। নিরুয়া চৌধুরী নামে ওই বিজেপি কর্মী অভিযোগ করেন, ৩০ নভেম্বর ধর্মতলায় শাহের সভায় যাওয়ার পর থেকেই তাঁকে হুমকি দিচ্ছিল তৃণমূল। তিনি পুলিশে অভিযোগ করায় আদালত অভিযুক্তদের সমন পাঠায়। তাতে তারা আরও খেপে ওঠে। শনিবার রাত থেকে তাঁদের দফায় দফায় মারধর করা হয়। দুর্গাপুরের বিজেপি নেতা অখিল মণ্ডলের অভিযোগ, “শাহের সভায় মানুষ যাতে না যান, সে জন্য নানা এলাকায় ভয় দেখানো হচ্ছে। সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করছে তৃণমূল।”
জামুড়িয়ায় রবিবার শাহের সভার জন্য পোস্টার সাঁটাচ্ছিলেন বিজেপি কর্মীরা। অভিযোগ, তৃণমূলকর্মীরা তা ছিঁড়ে দেয়। বাধা দিতে গেলে বেধড়ক মারধর করা হয় তিন বিজেপি কর্মীকে। তৃণমূলের চার জনের নামে পুলিশে অভিযোগ করেন তাঁরা। কোন এলাকা থেকে কারা শাহের সভায় যাবেন, সে নিয়ে সন্ধ্যায় বোলপুরের পাঁচশোয়া প্রাথমিক স্কুলে বৈঠক বসেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। সেখানেও হামলার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপির বীরভূম জেলা সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের অভিযোগ, “তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের লোকজনকে মারধর করে। গাড়ি ভাঙচুর ও লুঠপাটও চালায়।” তৃণমূল যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
দলের কর্মী-সমর্থকদের উপরে হামলার প্রতিবাদে এ দিন বর্ধমানে মিছিল করে গিয়ে থানায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। দলের বর্ধমান জেলা (গ্রামীণ) সম্পাদক সন্দীপ নন্দী দাবি করেন, “সভায় এলে মারধরের হুমকি দেওয়া হচ্ছে আমাদের লোকজনকে। তবে এ সব করে লোক আসা আটকাতে পারবে না ওরা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy