Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
জঙ্গিপুর কলেজ

তৃণমূলের দাদা মেরেছে, ইস্তফা দশ ছাত্রনেতার

নারদের গুঁতো খেয়ে ঘর গুছোনো দূরে থাক, তৃণমূলের সংসারে মুষল-পর্ব চলছেই! দলের এক গোষ্ঠীর সঙ্গে অন্য গোষ্ঠীর কোন্দল বা কলেজে ছাত্রদের এক পক্ষের সঙ্গে অন্য পক্ষের আকচাআকচি তো ছিলই। এ বার মতান্তর হওয়ায় জঙ্গিপুর কলেজে ঢুকে দলেরই ছাত্রনেতাদের পেটানোর অভিযো‌গ উঠেছে তৃণমূলের কিছু ‘বহিরাগত দাদা’র বিরুদ্ধে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রঘুনাথগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৬ ০২:০৬
Share: Save:

নারদের গুঁতো খেয়ে ঘর গুছোনো দূরে থাক, তৃণমূলের সংসারে মুষল-পর্ব চলছেই!

দলের এক গোষ্ঠীর সঙ্গে অন্য গোষ্ঠীর কোন্দল বা কলেজে ছাত্রদের এক পক্ষের সঙ্গে অন্য পক্ষের আকচাআকচি তো ছিলই। এ বার মতান্তর হওয়ায় জঙ্গিপুর কলেজে ঢুকে দলেরই ছাত্রনেতাদের পেটানোর অভিযো‌গ উঠেছে তৃণমূলের কিছু ‘বহিরাগত দাদা’র বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার যে লাঞ্ছনা সহ্য করতে না পেরে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ছেড়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন ওই কলেজের একগুচ্ছ নেতা-সদস্য। যার মধ্যে টিএমসিপি-র জঙ্গিপুরের পর্যবেক্ষক সাবির আলি, জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রনি খানের মতো পরিচিত নামেরাও রয়েছেন।

সাবিরের অভিযোগ, “দুপুর ১টা নাগাদ জঙ্গিপুর কলেজে তৃণমূলের দুই কর্মীর সঙ্গে বচসা বাধে কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গ সরকার এবং সংগঠনের জঙ্গিপুর ব্লকের কার্যকরী সভাপতি সেকেন্দার খানের। কলেজের ছাত্র বা কর্মী না হওয়া সত্ত্বেও কেন ওই দু’জন কলেজে ঢুকেছেন তা জানতে চান ছাত্রনেতারা। তাঁরা খেপে ওঠেন। ছাত্রনেতাদের সঙ্গে ওই দু’জনের ধাক্কাধাক্কি হয়।’’

তখনকার মতো ঝামেলা মিটেও গিয়েছিল। টিএমসিপি নেতাদের অভিযোগ, তার পরে রঘুনাথগঞ্জ-২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সইদুল মিঞা বকুল কিছুক্ষণ পরে গৌরাঙ্গকে ফোনে হুমকি দেন। তাঁর নির্দেশে তৃণমূলের লোকজন কলেজের ঢুকে ওই দুই ছাত্রনেতাকে বেধড়ক মারধর করে। ঘটনার পরে আহত গৌরাঙ্গবাবু জঙ্গিপুর পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে যান। কিন্তু সেই অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ।

সাবিরের অভিযোগ, “পুলিশ ফাঁড়িতে কোনও অফিসার নেই— এই কারণ দেখিয়ে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন ফাঁড়ির কর্মীরা। পরে ফাঁড়িতে গেলে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন। বিকেলে রঘুনাথগঞ্জ থানায় গিয়ে আমরা অভিযোগ দায়ের করি।” এর পরেই ক্ষুব্ধ ওই ছাত্রনেতারা সংগঠনের জেলা সভাপতিকে তাঁদের ইস্তাফাপত্র পাঠিয়ে দেন। গৌরাঙ্গবাবু জানান, তাঁরা মার খেয়ে কলেজে সংগঠন গড়েছেন। কিন্তু বিপদে-আপদে দলের নেতাদের কাছে পাওয়া যায় না। উল্টে দলের নেতারাই তাঁদের মারধর করেছে। এ সব মানা যায় না। তাই বাধ্য হয়েই তাঁরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।

সইদুল মিঞা বকুল অবশ্য মারধরে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “শহরের বাইরে রয়েছি। কলেজে কী ঘটেছে, তা জানি না। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’ জঙ্গিপুর কলেজ রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকের মধ্যে পড়ে। ব্লক তৃণমূল সভাপতি মুক্তিপ্রসাদ ধর বলেন, “ভোটের প্রচারে ব্যস্ত থাকায় ওই ছাত্রদের ফোন ধরতে পারিনি। তবে যতদূর জানি, দলের মধ্যে অশান্তি করা হয়নি। বুধবার দু’পক্ষকে ডেকে কথা বলব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

resigns tmcp inter clash jangipur college
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE