Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

শ্বশুরবাড়িতে তরুণীকে খুন, ধৃত ৩ অভিযুক্ত

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ঘটনা

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হাবড়া শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০১৯ ০১:৪০
Share: Save:

বালিশ চাপা দিয়ে বৌমাকে খুন করে দেহ অটোচালককে দিয়ে হাসপাতালে পাঠাতে চেয়েছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু চালক রাজি হননি। এর পরেই পাড়ায় জানাজানি হয়। প্রতিবেশীরা খবর দেন মেয়ের বাপের বাড়িতে। পুলিশ এসে স্বামী-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত পায়েল শীলের (২৫) বাবা বিশ্বনাথ শীলের অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার তরুণীর স্বামী কানাই, শাশুড়ি সাবিত্রী ও ননদ পম্পা বিশ্বাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত নন্দাই সুবীর বিশ্বাস পলাতক। তার খোঁজ চলছে। শনিবার বনগাঁ মহকুমা আদালত কানাইকে পুলিশি হেফাজতে এবং বাকি দু’জনকে জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৮-র জানুয়ারিতে গাইঘাটার ঢাকুরিয়ার বাসিন্দা পায়েলের বিয়ে হয় দেবীপুরের কানাইয়ের সঙ্গে। পায়েলের পরিবারের দাবি, বিয়েতে শ্বশুরবাড়ির দাবি মেনে খাট, আলমারি, টিভি, ফ্রিজ সোনার গয়না, নগদ টাকা দেওয়া হয়। তার পরেও চাহিদার শেষ ছিল না। অভিযোগ, আরও বেশি টাকার দাবিতে শ্বশুরবাড়ির লোকজন পায়েলের উপরে নির্যাতন শুরু করে। বিশ্বনাথ পুলিশকে জানান, জামাই চাকরির জন্য ঘুষ দেবে বলে ঠিক করেছিল। সেই অজুহাতে টাকা চেয়েছিল ওরা। জামাইয়ের বাজারে প্রচুর দেনা হয়েছে। সেই টাকাও শোধ করার জন্য ওরা মেয়েকে চাপ দিত। বিশ্বনাথ বলেন, ‘‘বিয়ের পরেও আমরা ৩ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। সাত মাস আগে নাতি হয়। তার পরে নির্যাতন বেড়ে যায়। মেয়েকে খেতেও দিত না ওরা।’’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খবর পেয়ে বিশ্বনাথরা গিয়ে দেখেন, পায়েলের দেহ খাটে শোয়ানো। পা বাঁধা। গলায় ফাঁসের চিহ্ন। পাশে ভিজে বালিশ। পুলিশ দেহটি বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। বিশ্বনাথ বলেন, ‘‘শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেয়েকে খুন করেছে। ওদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’ শনিবার পায়েলের শ্বশুরবাড়িতে চড়াও হয়ে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় লোকজন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Murder Gaighata
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE