প্রতীকী ছবি।
স্কুলপড়ুয়াদের মিড-ডে মিল বা দুপুরের খাবারের জন্য মাথাপিছু যে-টাকা দেওয়া হয়, তাতে হেরফের হচ্ছে না। তবে লোকসভা ভোটের মুখে মিড-ডে প্রকল্পে খাবার তৈরির কাঁচামাল পরিবহণ এবং রান্নাঘরের সামগ্রী কেনার ক্ষেত্রে বরাদ্দ কিছু বাড়িয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই বৃদ্ধির হার স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যার উপরেই নির্ভর করবে।
মিড-ডে মিলের কাঁচামাল পরিবহণের ক্ষেত্রে এ বারের বৃদ্ধির হার খুব কম নয়। আগে স্কুলে দুপুরের খাবারের জন্য চাল, ডাল-সহ বিভিন্ন কাঁচামাল পরিবহণ খাতে প্রতি কুইন্টালে দেওয়া হত ৭৫ টাকা। সেটা বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ বৃদ্ধি প্রায় দ্বিগুণ। একই সঙ্গে মিড-ডে মিলের রান্নাঘরে বাসনকোসন, উনুন কেনা এবং ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়লে নতুন সামগ্রী কেনার জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের স্কুলশিক্ষা বিভাগের যুগ্মসচিব আরসি মিনার সই সংবলিত সাম্প্রতিক নির্দেশে মিড-ডে মিল প্রকল্পে এই টাকা বাড়ানো হয়েছে স্কুলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যার অনুপাতে। আগে সব ক্ষেত্রেই পাঁচ হাজার টাকা দেওয়া হত। এ বার ঠিক হয়েছে, যে-স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৫০, তাদের দেওয়া হবে ১০ হাজার টাকা। যে-সব স্কুলে ৫১ থেকে ১৫০ জন পড়ুয়া আছে, তারা এ বার ১৫ হাজার টাকা পাবে। যে-সব স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা ১৫০ থেকে ২৫০-র মধ্যে, তারা ২০ হাজার টাকা পাবে। ২৫১ বা তার বেশি ছাত্রছাত্রী আছে যে-সব স্কুলে, তাদের দেওয়া হবে ২৫ হাজার টাকা।
কেন্দ্রীয় নির্দেশে জানানো হয়েছে, পড়ুয়াদের পুষ্টির জন্য বিশেষ খাবার দেওয়া অথবা কিচেন গার্ডেন তৈরির মতো উদ্যোগের ক্ষেত্রে বাজেট থেকে পাঁচ শতাংশ টাকা খরচ করা যাবে। প্রতিটি জেলায় মিড-ডে মিল প্রকল্পের জন্য জেলাশাসকের
নেতৃত্বে তৈরি কমিটিকে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে। পড়ুয়ারা যে-ধরনের খাবার খেতে অভ্যস্ত, সেটা মাথায় রেখে খাদ্যতালিকা তৈরি করা, পড়ুয়ার সংখ্যা অনুযায়ী রান্নাঘরের সামগ্রী কেনা, রান্নাঘর, গুদামঘর বানানো, রাঁধুনির স্বাস্থ্যপরীক্ষা ইত্যাদি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে কমিটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy