প্রতীকী চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ে রক্ত ঝরেছিল আমডাঙায়। ভোটগ্রহণের দিনও খুন হন এক জন। বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত এলাকা। মঙ্গলবার রাতে বোমা-গুলিতে ২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। আহত অন্তত ১০ জন।
স্থানীয় সূত্রের খবর, তৃণমূল এবং সিপিএমের মধ্যে মূল লড়াই ওই এলাকায়। বিজেপির একটি অংশ আবার সিপিএমের পাশে দাঁড়িয়েছে। বোর্ড গঠন নিয়ে ক’দিন ধরেই হাওয়া গরম হচ্ছিল। বিরোধীরা অভিযোগ তোলে, তাদের জয়ী প্রার্থীদের উপরে নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এই নিয়ে হাইকোর্টে মামলাও হয়। যার প্রেক্ষিতে এ দিনই আদালত নির্দেশ দেয়, বুধবার বোর্ড গঠনের প্রক্রিয়া শান্তিপূর্ণ ভাবে করানোর জন্য তৎপর হতে হবে পুলিশকে।
কিন্তু তার আগেই ঘটে গেল বড়সড় ঘটনা। সন্ধের পর থেকে দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি শুরু হয়। বোমা-গুলিতে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। নিহতদের নাম নাসির হালদার (২৫) ও কুদ্দুস গনি (৩৫)। দু’জনই তাদের দলের কর্মী বলে দাবি করেছে তৃণমূল। অন্য দিকে, শাসক দলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ এনেছে বিরোধীরা।
এ দিন পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত ছিল, পুলিশও প্রথম দিকে বহিশগাছি এলাকায় পা রাখতে পারেনি। পুলিশের গাড়িতে ভাঙচুর চলে। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে কয়েক ঘণ্টা ধরে বোমাবাজি, গুলির লড়াই হয়েছে। বহু দূর থেকে বোমার ঝলকানি, শব্দ ভেসে আসে। বহু মানুষ ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালান।
রাতের দিকে পুলিশ, র্যাফ গ্রামে ঢুকে দেহ উদ্ধার করেছে। আহতদের পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy