Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

ডাক পেয়েও প্রেসিডেন্সির কাউন্সেলিংয়ে নেই ৩০%

রাজ্যের বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এ বার যে প্রায় অর্ধেক আসন ভর্তি হয়নি, সেটা জানা গিয়েছে আগেই। শুক্রবার জানা গেল, প্রেসিডেন্সির মতো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানে স্নাতক স্তরে ভর্তির কাউন্সেলিংয়ের জন্য যত ছাত্রছাত্রী ডাক পেয়েছিলেন, তাঁদের শতকরা ৩০ ভাগই অনুপস্থিত!

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৫ ০৩:৪২
Share: Save:

রাজ্যের বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে এ বার যে প্রায় অর্ধেক আসন ভর্তি হয়নি, সেটা জানা গিয়েছে আগেই। শুক্রবার জানা গেল, প্রেসিডেন্সির মতো ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানে স্নাতক স্তরে ভর্তির কাউন্সেলিংয়ের জন্য যত ছাত্রছাত্রী ডাক পেয়েছিলেন, তাঁদের শতকরা ৩০ ভাগই অনুপস্থিত!

প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য কাউন্সেলিংয়ে ডাক পেয়েছিলেন প্রায় ১৮৫০ ছাত্রছাত্রী। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সেই কাউন্সেলিং শেষে দেখা গিয়েছে, ১৪৫০ জনের বেশি প়ডুয়া সেখানে হাজিরই হননি। প্রেসিডেন্সির মতো প্রতিষ্ঠানের প্রতি এই বিমুখতা কেন, তার সদুত্তর মিলছে না। একের পর এক শিক্ষকের প্রতিষ্ঠান ছে়ড়ে যাওয়া, বেশ কিছু শিক্ষককে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া ইত্যাদির ফলেই প্রেসিডেন্সির প্রতি প়ড়ুয়াদের আকর্ষণ কমেছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

প্রেসিডেন্সির শিক্ষকদের কেউ কেউ বলছেন, কলকাতা এবং রাজ্যের বাইরের কলেজগুলিতে ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রথম বর্ষের ক্লাসও শুরু হয়ে গিয়েছে অনেক জায়গায়। প্রেসিডেন্সির ভর্তি প্রক্রিয়া এ বার অনেক দেরিতে শুরু হওয়ায় বহু পড়ুয়াই অন্য কলেজ ছেড়ে এখানে আসার ঝুঁকি নিতে চাননি। তাই কাউন্সেলিংয়ে আশানুরূপ সাড়া নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির চেয়ারম্যান তথা পদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধান সোমক রায়চৌধুরী অবশ্য কাউন্সেলিংয়ে ছাত্রছাত্রীদের হাজিরা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাঁর ব্যাখ্যা, বি়জ্ঞান বিভাগে যথেষ্ট আসন পূরণ হয়ে গিয়েছে। গত বছরে জয়েন্টের কাউন্সেলিংয়ের আগেই প্রেসিডেন্সির কাউন্সেলিং হয়েছিল। তখন অধিকাংশ আসনই ভর্তি হয়ে যায়। কিন্তু পরে জয়েন্টের কাউন্সেলিংয়ের পরে অনেক আসন ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। এ বার জয়েন্টের পরে কাউন্সেলিং হয়েছে। আসনের বেশির ভাগ পূরণ হওয়ায় কর্তৃপক্ষ খুশি। সোমকবাবু বলেন, ‘‘এ বার যে-সব আসন পূরণ হয়েছে, তা আর ফাঁকা হবে না। কারণ জয়েন্টের কাউন্সেলিং ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। তাই এ দিনের কাউন্সেলিংয়ে খারাপ কিছু দেখছি না।’’ উদাহরণ দিয়ে তিনি জানান, পদার্থবিদ্যার ২৯টি আসন ভর্তি করতে গত বছর মেধা-তালিকার ২০০ নম্বর নাম পর্যন্ত নামতে হয়েছিল। এ বার ৫০ পর্যন্ত আসতেই আসন পূরণ হয়ে গিয়েছে।

কিন্তু কলা বিভাগে কত আসন খালি থেকে গেল? অনুপস্থিত ছাত্রছাত্রীরা কি বেশির ভাগ কলা বিভাগেরই? সোমকবাবু বলেন, ‘‘আমি এখনও হিসেব করিনি। হিসেব সম্পূর্ণ হলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। তখন ব্যাখ্যা দিতে পারব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE