প্রতীকী ছবি।
জাতীয় সড়কের উপর লরির ধাক্কায় বরযাত্রী-বোঝাই একটি গাড়ি উল্টে মৃত্যু হয়েছে ছ’জনের। জখম মহিলা ও শিশু-সহ ১০ জন। বুধবার মালদহের কালিয়াচক থানার সুজাপুরে মাঝরাতের ঘটনা। ঘটনায় লরিচালককে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন তপন মণ্ডল (২৫), সুবোধ ঘোষ (৫০), বাপন ঘোষ (২১), শেখর ঘোষ (২৮), ধনঞ্জয় ঘোষ (৩২) এবং ওই গাড়ির চালক সালোয়ার শেখ (৩৫)। কালিয়াচক থানার বিভিন্ন গ্রামে তাঁদের বাড়ি। পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বৃহস্পতিবার বলেন, “দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ি দু’টি আটক করা হয়েছে।” দুর্ঘটনার পর রাতে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে কিছুক্ষণের জন্য গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
পুলিশ গিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর স্বাভাবিক হয় জাতীয় সড়ক।
পুলিশ সূত্রের খবর, কালিয়াচকের ভবানীপুর গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বনাথ ঘোষের ছেলে বিশ্বজিতের বিয়ের বরযাত্রীদের নিয়ে সাতটি গাড়ি গাজলের আলমপুরের দিকে যাচ্ছিল। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ সুজাপুরে জাতীয় সড়কের উপর একটি
মোড়ে বরযাত্রীদের ওই গাড়িটি দাঁড়ায়। সেই সময় মালদহমুখী একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তীব্র গতিতে গাড়িটিতে ধাক্কা মারে। গাড়িটি উল্টে পাশের নয়ানজুলিতে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তপন ও সুবোধের।
স্থানীয় বাসিন্দারাই উদ্ধারকাজে হাত লাগান। জখম যাত্রীদের উদ্ধার করে তাঁরা নিয়ে যান মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে মৃত্যু হয় বাপন, শেখর ও চালক সালোয়ারের। ধনঞ্জয়কে রেফার করা হয় কলকাতায়। তবে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় তাঁর। গুরুতর
জখম অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১০ জন।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবরে বিয়েবাড়িতে কান্নার রোল পড়ে যায়। বিশ্বনাথ এ দিন জানান, কোনওরকমে বিয়ের অনুষ্ঠানটুকু সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, “সকলে আনন্দ করে বিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। কেনাকাটার জন্য সুজাপুরে ওই গাড়িটি দাঁড়িয়েছিল। তবে এমনটা হবে তা ভাবতে পারছি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy