প্রতীকী ছবি।
বাঘ নিয়ে আতঙ্ক কাটছে না! এ বার নারায়ণগড়ে বনে কাঠ কুড়োতে গিয়ে বাঘ দেখেছেন বলে দাবি করলেন দুই মহিলা। এমনকী, বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে বলেও শোরগোল পড়ে যায়। যদিও বন দফতরের বক্তব্য, নারায়ণগড়ের জঙ্গলে বাঘের অস্তিত্ব অস্বাভাবিক।
বুধবার নারায়ণগড় ব্লকের কাশীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মালগোদার শাল জঙ্গলে যাওয়া দুই মহিলা দাবি করেন, তাঁরা বাঘ দেখেছেন। স্থানীয়েরাও দাবি করেন, তাঁদের নাকি নজরে এসেছে পশুর পায়ের ছাপ। তড়িঘড়ি কাশীপুরের জঙ্গলে বন দফতরের বিট অফিসার গিয়ে পর্যবেক্ষণ করেন ওই পায়ের ছাপ। তবে তা বাঘের বলে মানতে চাননি তিনি। বন দফতরের দাবি, সন্দেহজনক কিছুই মেলেনি। মঙ্গলবার বিকেলে মালগোদার জঙ্গলে অন্যদের সঙ্গে কাঠ আনতে গিয়েছিলেন কাশীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁশচাটির মহিলা দুর্গা সিংহ এবং সুমিত্রা দে। তাঁরা বলেন, ‘‘হঠাৎ কাঠ কুড়োতে গিয়ে শব্দ শুনতে পাই। মুখ তুলে দেখি ডোরাকাটা দাগের এক জন্তু। প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। পরে দেখলাম বাঘই।’’ বন দফতরের তরফে কেশিয়াড়ি বিট সহ খাজরা, লেঙ্গামারা, ধানঘোরি প্রভৃতি জঙ্গলে তল্লাশি চালানো হয়। তাঁদের দাবি, কোথাও পায়ের ছাপ বা বাঘের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। মালগোদার জঙ্গলে গিয়ে পাঞ্জাবি পুকুরের ধারে জন্তুর পায়ের ছাপ দেখতে পান বেল্টি বিট অফিসার নয়ন দত্ত। কিন্তু নয়নবাবুর কথায়, ‘‘দুই থেকে আড়াই ইঞ্চি মতো পায়ের ছাপ। বাঘ হতে পারে না। এ অঞ্চলে বাঘ আসা অস্বাভাবিক। অযথা বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।” খড়্গপুরের ডিএফও অরূপ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওই পায়ের ছাপ দেখে নিশ্চিত ওটা বাঘের নয়। তবে আমরা ওই ছাপ নিয়ে লালগড়, গোয়ালতোড়ে যে বাঘের ছাপ মিলেছে তার সঙ্গে মিলিয়ে দেখব। আসলে নারায়ণগড়ের ওই জঙ্গলে বাঘের অস্তিত্ব অস্বাভাবিক। তবে আমরা কোনও সম্ভাবনা উড়িয়েও দিচ্ছি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy