ছবি: সংগৃহীত।
আধারের তথ্য সরকারি ওয়েবসাইটেই ফাঁস হয়ে গিয়েছে, তথ্য জানার অধিকারে স্বীকার করেছে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া(ইউআইডিএআই)। অথচ এ খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরে সোমবার ইউআইডিআই আবার বিবৃতি দিয়ে দাবি করেছে, ‘‘আধারের সব তথ্য নিরাপদ এবং সুরক্ষিত। ইউআইডিএআই-এর তরফে কোনও তথ্য ফাঁস হয়নি। ইউআইডিএআই-এর ডেটাবেস বা সার্ভার থেকে কোনও আধারের তথ্য ফাঁস হয়নি।’’
কিন্তু কেন্দ্রের প্রায় ২১০টি ওয়েবসাইটে সুবিধাপ্রাপকদের তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে আধারের তথ্য দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি নজরে আসার পরেই তা সরিয়েও দেওয়া হয়েছে বলে তথ্য জানার অধিকারে জানিয়েছে আধার প্রস্তুতকারক সংস্থা ইউআইডিএআই। কিন্তু সেই সাফাই মানতে নারাজ বিরোধীরা।
মোবাইলের সঙ্গে আধার নম্বর লিঙ্ক করা নিয়ে যেমন আগেই আপত্তি জানিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আধারের তথ্য কেন্দ্র যে ‘গোপন’ রাখতে পারবে না, তা নিয়ে বারবারই তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কেন সাংবিধানিক অধিকার হওয়া সত্ত্বেও কেন দেশের নাগরিকদের গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যের তরফে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও করা হয়েছে। সেই মামলা এখনও চলছে। তাঁর আশঙ্কা সত্য প্রমাণিত হওয়ায় এ দিন মমতা বলেন, ‘‘ইউনিক কার্ডের আমি পক্ষপাতী। কিন্তু আধার কার্ডের নাম করে আজকের আধুনিক জগতে যে সিস্টেমে ওয়েবসাইটে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সেটা মানুষের কাছে বিপজ্জনক। মানুষের ভিতরের কঙ্কাল বার করে আনতে চাইছে। এটা সমাজের পক্ষে, ব্যক্তির পক্ষে এবং দেশের পক্ষে বিপজ্জনক।’’
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘কেন্দ্রের সরকার জনস্বার্থবিরোধী, ভুলের সরকার। এই সরকারের পরিবর্তন দরকার।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘এ ভাবে আধারের তথ্য ফাঁসেই বোঝা যাচ্ছে যে, বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের চরম ব্যর্থতা। বাম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্যও কেন্দ্রকে দুষে বলেন, ‘‘আধারের নাম করে যা করছে, তাতে হিতে বিপরীত হবে। এই ঘটনা প্রমাণ করে আধারে গলদ রয়েছে।’’ তবে বিরোধীদের অভিযোগের মুখে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সাফাই দেন, ‘‘নম্বর গেলেই সব তথ্য চলে যায় না! সব জায়গাতেই নম্বর দেওয়া হয়, তাতে কোনও ক্ষতি হয় না। এটা ভয় দেখানোর চেষ্টা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy