আব্দুল মান্নান ও সুজন চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।
লোকসভা ভোটের পরে রাজনৈতিক সংঘর্ষ বন্ধ ও শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবিকে সামনে রেখে সক্রিয়তা বাড়াতে চলেছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। দু’দলের বিধায়কদের নিয়ে যৌথ প্রতিনিধিদল আজ, সোমবার যাচ্ছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে। বিধায়কদের যৌথ দলের কাল, মঙ্গলবার যাওয়ার কথা উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে। পর দিন, বুধবার কলকাতায় একই বিষয়ে মিছিলের ডাক দিয়েছে বামফ্রন্ট। ময়দানে গাঁধীমূর্তির পাদদেশে প্রদেশ কংগ্রেস নেতারা শুক্রবারই এই প্রশ্নে ধর্না-অবস্থানে বসেছিলেন। এ বার কংগ্রেস গণ-অবস্থানের কর্মসূচি নেবে জেলায় জেলায়।
বাম ও কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, বিজেপি এবং তৃণমূল একই সঙ্গে সাম্প্রদায়িক ও প্রাদেশিক মেরুকরণের রাজনীতি করছে। হিংসা, সংঘর্ষও বাড়ছে। এই রাজনীতিরই প্রতিবাদ তাঁরা পথে নেমে করতে চান। মথুরাপুরের লালপুরে নিহত সিপিএম কর্মী রাজু হালদারের এলাকায় আজ স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলবেন দুই বিরোধী দলের বিধায়কেরা। সন্দেশখালিতে নিহতেরা বিজেপি ও তৃণমূলের। কিন্তু সেখানেও যাবেন তাঁরা। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর মতে, নিহত যে দলের হোক, প্রাণ যাচ্ছে মানুষ বা সাধারণ রাজনৈতিক কর্মীদের। প্রশাসনিক সক্রিয়তার দাবি করছেন তাঁরা।
প্রদেশ কংগ্রেসের বৈঠকে শনিবারই সিদ্ধান্ত হয়েছে, তৃণমূল ও বিজেপির মেরুকরণের আবহে জমি উদ্ধারের জন্য বামেদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি রবিবার জানিয়েছেন, আলোচনায় তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। তবে তাঁদের কাছে এখনও কংগ্রেসের ওই প্রস্তাব পৌঁছয়নি।
আরও পড়ুন: এনআরএস ঘটনার প্রতিবাদে দেশ জুড়ে ধর্মঘট চিকিৎসকদের
আরও পড়ুন: জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে জট কাটল
এ বার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy