Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
Adhir Chowdhury

অধীরের জন্য চিঠি মান্নানের, নয়া চাল

সোমেন মিত্রের মৃত্যুর পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে কাকে আনা হবে, সেই ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি দলের হাইকম্যান্ড।

অধীর রঞ্জন চৌধুরী।—ছবি পিটিআই।

অধীর রঞ্জন চৌধুরী।—ছবি পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:৩৫
Share: Save:

প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নিয়োগ ঘিরে টানাপড়েনে নতুন মাত্রা যোগ হল। ওই পদের জন্য অধীর চৌধুরীই ‘যোগ্যতম ব্যক্তি’ বলে দাবি করে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে চিঠি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। দলনেত্রীর কাছে তাঁর আর্জি, লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা রেখেই অধীরবাবুকে প্রদেশ কংগ্রেসের দায়িত্ব দেওয়া হোক।

সোমেন মিত্রের মৃত্যুর পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে কাকে আনা হবে, সেই ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি দলের হাইকম্যান্ড। অধীর, প্রদীপ ভট্টাচার্যের পাশাপাশি সম্ভাব্য সভাপতি হিসেবে মান্নানের নাম নিয়েও দলে আলোচনা হয়েছে। মান্নান অবশ্য আগেই বলে রেখেছিলেন, বিরোধী দলনেতার পদে রেখে তাঁকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হলে ঠিক আছে। কিন্তু বিরোধী দলনেতার পদ ছেড়ে ওই দায়িত্ব নিতে তিনি আগ্রহী নন। এখন মান্নান নিজেই অধীরবাবুর পক্ষে সওয়াল করায় প্রদেশ সভাপতি বাছাইয়ের অঙ্কে নাটকীয় মাত্রা যোগ হল। কারণ, অধীরবাবু আবার এআইসিসি-র কাছে মনোজ চক্রবর্তী, নেপাল মাহাতোর পাশাপাশি মান্নানের নামও করেছেন। সে দিক থেকে দেখতে গেলে দলীয় সমীকরণে কিছুটা অস্বস্তিতে পড়লেন প্রদীপবাবু।

সনিয়াকে পাঠানো চিঠিতে মান্নানের যুক্তি, এই মুহূর্তে এমন কাউকে প্রদেশ সভাপতি করা উচিত, যাঁর নিজস্ব জনভিত্তি রয়েছে। আগামী বিধানসভা ভোটে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অধীরবাবুই যোগ্য নেতা। বামেদের সঙ্গে সমঝোতার প্রক্রিয়াও তিনি এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন। কংগ্রেস সভানেত্রীর কাছে মান্নানের আর্জি, অনেকেই প্রদেশ সভাপতি হওয়ার দাবি জানালেও বাম-কংগ্রেস জোট গড়ে তৃণমূল এবং বিজেপির মোকাবিলায় অধীরবাবুকে বেছে নেওয়াই এখন উপযুক্ত রাস্তা হবে।

অধীরবাবু, মান্নান বা প্রদীপবাবু কেউই এই অভ্যন্তরীণ দর কষাকষি নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। তবে প্রদেশ কংগ্রেসেরই অন্দরের প্রশ্ন, অধীরবাবুকে আগের বার সভাপতি করানোর পিছনে হাতযশ ছিল মান্নানেরও। কিন্তু অধীরবাবু সভাপতি হয়ে আসার পরে মতবিরোধের জেরে বিধান ভবনের রাস্তা বয়কট করেছিলেন মান্নান। এ বার তা হলে কী হবে! মান্নানের ঘনিষ্ঠ মহলের আবার যুক্তি, কংগ্রেসে গোষ্ঠী-রাজনীতি সব সময়ই থাকে এবং থাকবে। কিন্তু দল বাঁচাতে হলে অধীরবাবুই সেরা বাজি। তা ছাড়া, চিঠিতে লেখাই আছে হাইকম্যান্ড যাঁকেই দায়িত্ব দেবে, তিনি মেনে নেবেন। আর কংগ্রেসের নিয়ম মেনে বিধানসভা ভোটের টিকিট দেওয়ার সময়ে প্রদেশ সভাপতিকে নির্বাচনী কমিটিতে বিরোধী দলনেতা বা পরিষদীয় নেতার সঙ্গে আলোচনাও করতে হবে। তাই মান্নানের কোনও ‘ক্ষতি’র অঙ্ক নেই!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Adhir Chowdhury Sonia Gandhi
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE