বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের পুরুলিয়ার সভার পর সেই মাঠেই পাল্টা সভা করেছিল তৃণমূল। এবার মোদীর মাঠে পাল্টা সভা ২৮ জুলাই।
শনিবার, ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যে মাঠে সভা করেছিলেন, সেখানে তৃণমূলের সভায় হাজির থাকবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, সুব্রত বক্সীরা। এ দিন লোকসভা ভোট পর্যন্ত একগুচ্ছ কর্মসূচিও ঘোষণা করেন তৃণমূলনেত্রী। নেতাদের দায়িত্ব ভাগ করে দেন।
তিনি জানান, ২৭ জুলাই বীরভূমে পালিত হবে ‘নানুর দিবস’। যার দায়িত্বে থাকবেন ফিরহাদ হাকিম এবং অনুব্রত মণ্ডল।
১ থেকে ১৫ অগস্ট পর্যন্ত চলবে ‘বিজেপি হঠাও’ কর্মসূচি। তৃণমূলনেত্রী বলেন, ‘‘স্বাধীনতা দিবসে শপথ নিতে হবে, ২০১৯-এ বিজেপি যেন লালকেল্লায় পতাকা ওড়াতে না পারে।’’
২৮ অগস্ট গাঁধী মূর্তির পাদদেশে প্রতি বছরের মতোই পালিত হবে ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস। আর ৫ সেপ্টেম্বর রাজ্যের সর্বত্র ‘শিক্ষক দিবস’ পালন করার কথা বলেন তিনি। এ দিন সরাসরি ছাত্রদের নির্দিষ্ট অনুশাসনের কোনও বার্তা না দিলেও, ‘শিক্ষক দিবস’এর কর্মসূচি ঘোষণা করার সময় স্কুল, কলেজ, ক্লাব, পাড়া সর্বত্র শিক্ষকদের সম্মান জানাতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, প্রায় প্রতি বছর ২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দলীয় সংগঠনগুলিকে শৃঙ্খলা ও অনুশাসনের বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। এ বছর একমাত্র শিক্ষকদের বিষয়েই সেই নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আর বলেছেন, গরিবকে সাহায্য করার কথা। বাঁকুড়া ও জলপাইগুড়ির দু’টি ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কী ভাবে তিনি এবং তাঁর সরকার গরিব মানুষের পাশে থাকে।
বিশ্বকর্মা পুজোর আগে যুব তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে রাজ্য কনভেনশনের কথা জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। যার দায়িত্বে থাকবেন অভিষেক। আর নভেম্বর থেকে দলীয় কর্মীদের ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের সভার আয়োজন শুরু করে দেওয়ার নির্দেশ দেন মমতা।
তৃণমূলের সভা শেষ হওয়ার খানিক ক্ষণের মধ্যে বিজেপিও জানিয়ে দেয় তাদের কর্মসূচি। জানানো হয়, ডিসেম্বর জুড়ে ‘রথযাত্রা’ হবে। দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ জানিয়েছেন, গোটা ডিসেম্বর জুড়ে প্রতিটি বিধানসভা এবং লোকসভা কেন্দ্রের বুথে বুথে ঘুরবে রথ। জানুয়ারি মাসে রথযাত্রা শেষ হবে ব্রিগেড সমাবেশের মধ্য দিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy