প্রতীকী ছবি।
এত দিন জাতীয়তাবাদ নিয়ে মিছিলে কিংবা সিনেমা নিয়ে বিতর্কে প্রথম সারিতে দেখা গিয়েছে তাদের। এই প্রথম যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রভোটে তিনটি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন অখিল ভারতী বিদ্যার্থী পরিষদ বা এবিভিপি-র সমর্থকেরা। তবে তাঁরা লড়ছেন নির্দল প্রার্থী হিসেবে।
ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র সংসদ (ফেটসু)-এর নির্বাচনে চেয়ারপার্সন ও সাধারণ সম্পাদক এবং সল্টলেক ক্যাম্পাসে সহ-সম্পাদকের পদের জন্য মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন এবিভিপি-র ওই তিন সমর্থক। ২৫ জানুয়ারি ছাত্রভোট হবে যাদবপুরে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, গত ফেব্রুয়ারিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ভারত-বিরোধী স্লোগানের অভিযোগ ওঠার পরে সেখানে জাতীয়তাবাদের পক্ষে মিছিল হয়েছিল। সেই মিছিলে যেমন এবিভিপি-র সমর্থক পড়ুয়ারা ছিলেন। ছিলেন ওই সংগঠনের বাইরের ছেলেমেয়েরাও। তা ছাড়া মে মাসে বিবেক অগ্নিহোত্রীর ‘বুদ্ধ ইন এ ট্রাফিক জ্যাম’ ছবিটির প্রদর্শন নিয়ে বিতর্কের সময়েও ছবিটি দেখানোর পক্ষে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিলেন এবিভিপি-র সমর্থক-ছাত্রেরা। পরে ‘ন্যাশনালিস্ট স্টুডেন্টস ফ্রন্ট’ নামে একটি সংগঠনও তৈরি করেন তাঁরা।
মিছিল-বিতর্কে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েও এবং রীতিমতো সংগঠন গড়েও এবিভিপি-র সমর্থকেরা ভোটে নির্দল হিসেবে দাঁড়াচ্ছেন কেন?
ওই সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’টি আন্দোলনে এবিভিপি-র বাইরের ছাত্রছাত্রীরাও ছিলেন। মূলত তাঁদের সমর্থন পেতেই ভোটে নির্দল হিসেবে প্রার্থী দাঁড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবিভিপি।
আরএসএসের ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র নির্দল হিসেবে প্রার্থী দেওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন ফেটসুর বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক স্বর্ণেন্দু বর্মন। বুধবার তিনি বলেন, ‘‘শুনেছি, ওই ছাত্রেরা নির্দল হিসেবে মনোনয়ন পেশ করেছেন। ভোটে লড়াই করা যে-কোনও পড়ুয়ারই গণতান্ত্রিক অধিকার।’’ বারবার ফোন করেও ওই তিন নির্দল প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে এবিভিপি-র রাজ্য সম্পাদক সুবীর হালদার বলেন, ‘‘শুনেছি, ছাত্রেরা নির্দল হিসেবে যাদবপুরে লড়বেন। জাতীয়তাবাদের জন্য যাঁরা লড়বেন, আমরা সব সময়েই তাঁদের সমর্থন জানাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy