Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
পঞ্চায়েতের আগে স্বীকৃতি

১০০ দিনের কাজে দেশের সেরা বাংলাই

কেন্দ্রের এই স্বীকৃতি ভোটের আগে তৃণমূলের হাত শক্ত করল বলেই মনে করা হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে সরকারের সাফল্যকে মূলধন করে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করেছে শাসক দল।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৮ ০৩:৩৮
Share: Save:

রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে কেন্দ্রীয় রিপোর্টে সেরার স্বীকৃতি মিলল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের। প্রশংসিত হল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দফতর। আজ রাজ্যসভায় একটি প্রশ্নের জবাবে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক লিখিত ভাবে জানিয়েছে, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে গত আর্থিক বছরে বরাদ্দ টাকা সমস্ত রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি খরচ করতে পেরেছে পশ্চিমবঙ্গ। এই প্রকল্পের অধীনে সবচেয়ে বেশি শ্রমদিবস তৈরি করার ক্ষেত্রেও শীর্ষে রয়েছে রাজ্য।

কেন্দ্রের এই স্বীকৃতি ভোটের আগে তৃণমূলের হাত শক্ত করল বলেই মনে করা হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে সরকারের সাফল্যকে মূলধন করে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করেছে শাসক দল। একশো দিনের কাজের পাশাপাশি কন্যাশ্রী প্রকল্প, গ্রামীণ সড়ক, আবাসন, মহিলা স্বনির্ভর যোজনার মতো বিষয়গুলিতেও রাজ্য প্রশাসনের সাফল্যকে তুলে ধরার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় আজ বলেন, ‘‘শুধুমাত্র কেন্দ্র নয়, ইউনেস্কোর মতো আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলি থেকেও পশ্চিমবঙ্গের কাজ প্রশংসিত হচ্ছে। সবাই স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছেন, গ্রামীণ যোজনাগুলির ক্ষেত্রে আমরা অনেক এগিয়ে। ধারে-কাছে কেউ নেই। সেটা শৌচাগার নির্মাণই হোক অথবা মহিলাদের স্বনির্ভর করা।’’ প্রসঙ্গত, ইউপিএ জমানাতেও তৎকালীন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জয়রাম রমেশ একাধিক চিঠিতে সুব্রতবাবুর কাজের প্রশংসা করেছিলেন।

আজ তৃণমূল সাংসদ মানস ভুঁইয়া একটি লিখিত প্রশ্নে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের কাছে জানতে চান, ‘মহাত্মা গাঁধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্প’ (মনরেগা)-এ বরাদ্দ অর্থ কোন রাজ্য কতটা খরচ করতে পেরেছে? পশ্চিমবঙ্গের অবস্থান এ ক্ষেত্রে কোথায়? জবাবে মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রামকৃপাল যাদব প্রত্যেকটি রাজ্যের খরচের বিস্তারিত হিসাব দেন। ২০১৭ থেকে ২০১৮ (২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত) সময়সীমায় দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ খরচ করেছে ৭ হাজার ৩৫২ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা। কাছাকাছি রয়েছে একমাত্র তামিলনাড়ু (৫ হাজার ৯৮১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা)। কেন্দ্রের সমীক্ষাতেই দেখা যাচ্ছে, বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলি এ ক্ষেত্রে বিশেষ খরচই করে উঠতে করতে পারেনি।

আরও পড়ুন: মশা পুষলেই গচ্চা এক লাখ

মানসবাবু বলেন, ‘‘বিজেপি সব সময়ে অপবাদ দেয়, বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আমরা খরচ করতে পারি না। অথবা ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিতে পারি না। এ বার তাদের সরকারই লিখিত ভাবে আমাদের কাজের স্বীকৃতি দিল।’’ তৃণমূলের মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন জানান, ২০১১ সালে তৃণমূলের রাজনৈতিক ইস্তাহারে গ্রামোন্নয়নের ক্ষেত্রে যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা পূরণ করা হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা এ ব্যাপারে অর্থের কোনও কার্পণ্য করিনি। ‘বেটি বচাও বেটি পড়াও’ প্রকল্পে মোদী সরকার বাজেটে রেখেছে ৫০০ কোটি টাকা। আমরা কন্যাশ্রী প্রকল্পে বরাদ্দ করেছি এর দশ গুণ, অর্থাৎ প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা। কৃষকদের রোজগার দ্বিগুণ করব বলে কথা দিয়েছিলাম, করে দেখিয়েছি। বিজেপি তাদের ইস্তাহারে বললেও এখনও কিছু করে দেখাতে পারেনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE