অর্পিতা এবং অধীর
স্ত্রী অর্পিতার সঙ্গে সাংসদ অধীর চৌধুরীর শেষ দেখা আর হল না। মঙ্গলবার অর্পিতার মৃত্যু সংবাদ শুনেই দিল্লি থেকেই রওয়ানা দিয়েছিলেন বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ। কলকাতা বিমানবন্দরে তিনি পৌঁছন বিকেল পাঁচটা নাগাদ। কিন্তু তত ক্ষণে বহরমপুর শহরের রাস্তা ধরে গোরাবাজার শ্মশানের দিকে যাত্রা শুরু করেছে অর্পিতার দেহ। রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ অধীর যখন বহরমপুরে পৌঁছন, ততক্ষণে সব শেষ।
তবে অধীর সোজা গিয়েছিলেন পুরনো সেই চৌধুরী ভিলায়। শহিদ সূর্য সেন রোডের যে বাড়িতে অর্পিতা থাকতেন। সে বাড়ির সামনে গিয়ে দেখেন তালা ঝুলছে। কয়েক মিনিট পর পরিচারিকা চাবি নিয়ে আসেন।
ঘনিষ্ঠেরা জানাচ্ছেন, তালা খুলে দোতলার ঘরে গিয়ে অপির্তার ছবির সামনে দাঁড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তবে আর অপেক্ষা করেননি। একটিও কথা না বলে আধঘণ্টা পরে, ফিরে যান তিনি। বুধবার সকালে ফের আসেন চৌধুরী ভিলায়। তা দেখে ভিড় করেন অধীরের অনুগামীরা।
আধ ঘণ্টা সে বাড়িতে চুপ করে খানিক বসে অদূরে শ্যালক অরিত মজুমদারের বাড়িতে যান। সে বাড়িতে তখন ছিলেন তাঁর শ্বশুর অলকেন্দু মজুমদার, শাশুড়ি রীতা মজমদার, শ্যালক অরিত। ফের কান্নার রোল।
দিল্লি থেকে ফিরে গোরাবাজারের বাড়িতে অধীর চৌধুরী।—নিজস্ব চিত্র
অলকেন্দুবাবু, অধীরকে বলেন, ‘‘বুবাই (অর্পিতা) বড্ড একা হয়ে গিয়েছিল। না হলে এত তাড়াতাড়ি বুবাইকে চলে যেতে হত না। এটা কোনও যাওয়ার সময় হল!’’ অর্পিতার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের দায় দায়িত্বও নিতে চেয়েছিলেন অধীর। তবে অলকেন্দুবাবু জানিয়ে দেন, তার দরকার নেই।
পুরনো বাড়িতে ফিরে এসে অধীর বলেন, ‘‘সত্যিই ভাবিনি এমন নিশ্চুপে চলে যাবে অর্পিতা! অনেক কিছু মনে পড়ছে, খুব ফাঁকা লাগছে। আমার জীবনের নানান ওঠা-পড়ায় ও পাশে থেকেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy