পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি মনোনীত হলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী।—ছবি সংগৃহীত।
আবার পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি মনোনীত হলেন অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভায় প্রধান বিরোধী পক্ষের নেতা অধীরকে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার বাংলার কংগ্রেসের শীর্ষ পদে বসানো হল। বুধবার রাতে এআইসিসি-র তরফে প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করে নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
কংগ্রেসের অন্যতম সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল প্রেস বিবৃতিটি প্রকাশ করেন। প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে অধীর চৌধুরীকে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী মনোনীত করেছেন বলে সেই বিবৃতিতে জানানো হয়। এই নতুন দায়িত্ব কাঁধে নিতে হচ্ছে বলে পুরনো দায়িত্ব অবশ্য কমছে না। অর্থাৎ, পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেসকে পরিচালনা করার পাশাপাশি লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা পদও অধীরকেই সামলাতে হবে বলে এআইসিসি সূত্রে জানা গিয়েছে।
২০১৮ সালে আচমকাই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল অধীর চৌধুরীকে। তাঁর জায়গায় আনা হয়েছিল সোমেন মিত্রকে। তাঁকে রাজনৈতিক বাণপ্রস্থ থেকে ফিরিয়ে এনে সরাসরি সরাসরি যে ভাবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করে দেওয়া হয়েছিল, তাতে অনেকেই বিস্মিত হয়েছিলেন। সোমেনের সঙ্গে অধীরের পুরনো সুসম্পর্কও তলানির দিকে যেতে শুরু করেছিল।
আরও পড়ুন: জঙ্গলমহলে ‘অ্যাকশন’ নিতে তৈরি হচ্ছে নবান্ন
গত ৩০ জুলাই তারিখে সোমেন মিত্রের প্রয়াণ ঘটে। সে দিন থেকেই নতুন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। আর এক প্রাক্তন সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্যকে ফেরানো হতে পারে, এমন জল্পনাও শোনা যাচ্ছিল। অধীর যেহেতু দিল্লির রাজনীতিতে খুব বড় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন, সেহেতু এই মুহূর্তে বাংলার জন্য আলাদা করে সময় বার করা তাঁর জন্য কঠিন হবে— এমনই যুক্তি দিচ্ছিলেন কেউ কেউ। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরে ক্রমশ জোরালো হচ্ছিল অধীরকে ফেরানোর দাবি। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানও কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে চিঠি লিখে অধীরের হয়েই সওয়াল করেছিলেন। বুধবার রাতে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড জানিয়ে দিল, অধীরই আবার সভাপতি।
আরও পড়ুন: টানা তিন দিন সুস্থের চেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা, সংক্রমণের হার ৭.২৯ শতাংশ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy