Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

জনের হাত ধরে খুলল প্রথম বাগান

মালিক-শ্রমিক দু’পক্ষ রাজি থাকলে ও টাই মধ্যস্থতা করলে তিনি যে রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে যাওয়ার পথই নেবেন, সেটাও বোঝালেন।

জন বার্লা। —ফাইল চিত্র

জন বার্লা। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৯ ০৫:৩৫
Share: Save:

মালিকপক্ষ ও শ্রমিক ইউনিয়নগুলি রাজি। রাজ্যকে ‘এড়িয়ে’ তাই দু’পক্ষকে নিয়ে সোমবার বৈঠক করলেন সদ্য নির্বাচিত বিজেপি সাংসদ তথা চা বলয়ের নেতা জন বার্লা। জনের ভূমিকা নিয়ে সকালেই সরব হন তৃণমূলের চা শ্রমিক সংগঠনের শীর্ষ নেতারা। অথচ, ডুয়ার্সের গ্রাসমোড় চা বাগানের অচলাবস্থা দূর করতে সোমবার এথেলবাড়িতে টি অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার (টাই) দফতরে আয়োজিত সেই বৈঠকে বিজেপির সঙ্গে হাজির থাকলেন তৃণমূলের চা শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও! আর বৈঠকের পর শেষ হাসি হেসে জন জানিয়ে দিলেন, “মঙ্গলবার থেকেই স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হয়ে যাবে গ্রাসমোড় চা বাগানে।’’

শুধু তা-ই নয়, জন আরও বলেন, ‘‘শীঘ্রই ডুয়ার্সের বাকি বন্ধ চা বাগানগুলিও এ ভাবেই আলোচনার মাধ্যমে খুলতে উদ্যোগী হব।” মালিক-শ্রমিক দু’পক্ষ রাজি থাকলে ও টাই মধ্যস্থতা করলে তিনি যে রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে যাওয়ার পথই নেবেন, সেটাও বোঝালেন। উল্টো দিকে, তৃণমূলের যে নেতারা জনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন, সংগঠনের অন্দরে এ বার তাঁরাই প্রশ্নে। সংগঠনের কারও কারও প্রশ্ন, তবে কি সংগঠনের উপর শীর্ষ নেতৃত্বের আর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই? চা বাগান তৃণমূল মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, “খোঁজ নিচ্ছি।”

দিল্লি থেকে সদ্য রবিবারই লক্ষ্মীপাড়ায় নিজের বাড়িতে ফিরেছেন জন। ওই দিনই জানান, জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা ব্লকের গ্রাসমোড় চা বাগানের অচলাবস্থা দূর করতে সোমবার টাই কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। রাজ্যের শ্রমিক দফতরকে এড়িয়ে এই বৈঠককে ঘিরে রবিবার থেকেই সরব হন তৃণমূলের চা শ্রমিক সংগঠনের নেতারা৷ সোমবার বৈঠকের আগে মোহন বলেন, “একটা ভোটে জিতেই এদের এই কাণ্ড!” কিন্তু বৈঠকে সাংসদ জন ও টাই-কর্তাদের সঙ্গে বাগানের মালিকপক্ষ ও বিজেপি ও তৃণমূলের চা শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও যোগ দেন৷

প্রশ্ন উঠেছে, তৃণমূলের চা শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বৈঠকে যোগ দিলেন কেন? জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের মেন্টর তথা চা বাগান তৃণমূল মজদুর ইউনিয়ানের সম্পাদক অমরনাথ ঝাঁ বলেন, “বৈঠকে যাইনি। তবে সংগঠনের গ্রাসমোড় চা বাগান ইউনিট কমিটির প্রতিনিধিদের পাঠাই।” তাঁর ব্যাখ্যা, “এখন বাগানে কোনও কাজ নেই। শ্রমিকরাও বাগান খোলার দাবিতে খুবই উত্তেজিত। তাই আমরা তো বাধা দিতে পারি না!” বৈঠক শেষে জন বলেন, “বৈঠক নিয়ে রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে যাওয়ার প্রশ্ন কেন উঠছে, বুঝছি না। বৈঠকে বিজেপির পাশাপাশি তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সহমতের ভিত্তিতেই তো বাগান খুলতে যাচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tea Garden John Barla BJP TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE