দলীয় কর্মীকে শ্রদ্ধা শুভেন্দু অধিকারীর। নিজস্ব চিত্র
তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুনের ঘটনায় আগেই তিন জনকে আটক করেছিল ভগবানপুর থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পরে বুধবার রাতে তাদেরই দু’জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত বিশ্বজিৎ জানা এবং বটকৃষ্ণ বেরা এলাকায় বিজেপি কর্মী বলেই পরিচিত। ধৃতদের বৃহস্পতিবার কাঁথি আদালতে হাজির করা হলে বিচারক পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার রাতে ভগবানপুর ১ ব্লকের নিমোকবাড় গ্রামের তৃণমূল কর্মী বছর বত্রিশের বিশ্বজিৎ বাগকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। পরে দেহ ফেলে দেওয়া হয় ইটভাটার নিকাশিনালায়। বিশ্বজিতের বাবা রতন বাগ ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন ভগবানপুর থানায়। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের তালিকায় নাম ছিল বিশ্বজিৎ ও বটকৃষ্ণের। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ধৃত দু’জন স্থানীয় পশ্চিম বাড় গ্রামের বিজেপি কর্মী হওয়ায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূলের ভগবানপুর ১ ব্লক সভাপতি মদনমোহন পাত্র বলেন, ‘‘বিজেপি-ই এই ঘটনায় জড়িত। আমরা পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেছি।’’ বিজেপি অভিযোগ মানতে নারাজ। দলের ভগবানপুর-১ মণ্ডল সভাপতি দেবব্রত কর বলেন, ‘‘মৃত ওই যুবকের বিরুদ্ধে চুরি-ডাকাতির একাধিক অভিযোগ ছিল। মঙ্গলবার রাতে টাকার ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে নিজেদের মধ্যে গন্ডগোলেই তার মৃত্যু হয়েছে। বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে।’’
২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভগবানপুর-১ ব্লকের মহম্মদপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের শেখবাড় গ্রামের বাসিন্দা দাপুটে তৃণমূল নেতা নান্টু প্রধান খুন হয়েছিলেন। খুনের পিছনে কারণ হিসাবে উঠে এসেছিল জোর করে চাষজমিতে ভেড়ি তৈরি নিয়ে স্থানীয় মানুষের ক্ষোভ। সেই একই এলাকায় ফের এক তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনা শোরগোল পড়েছে। বুধবার রাতে দলের নিহত কর্মীকে শ্রদ্ধা জানাতে ভগবানপুরে এসেছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। বিশ্বজিতের মৃতদেহে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তিনি। তবে এই মৃত্যু নিয়ে শুভেন্দু কোনও মন্তব্য করেননি। শুধু বিশ্বজিতের বাবা রতন বাগকে সান্ত্বনা দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘ধৈর্য্য ধরুন। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।’’ নিহতের পরিবারকে অর্থসাহায্যের কথাও জানান মন্ত্রী।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy