সুদীপ্ত সেন
আমানতকারীদের বিপুল অর্থ তছরুপ সংক্রান্ত মামলার নথিপত্রে তাঁর ঠিকানা এখনও আলিপুর জেল। কিন্তু অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন তো সেখানে নেই। কোথায় তিনি? নোটিস দিতে গিয়ে বিপাকে পড়লেন সিবিআই অফিসারেরা।
ঝাড়খণ্ড সিবিআইয়ের সদর দফতর থেকে তদন্তকারী অফিসারেরা একটি মামলার সূত্রে সারদার মালিক সুদীপ্ত, তাঁর সংস্থার অন্যতম কর্ত্রী দেবযানী মুখোপাধ্যায়-সহ কয়েক জনকে একটি নোটিস দেওয়ার জন্য কলকাতায় এসেছিলেন। এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘আদালতের নথি অনুযায়ী সুদীপ্তের ঠিকানা আলিপুর জেল। কিন্তু আমাদের সহকর্মীরা ওই জেলের ঠিকানায় গিয়ে জানতে পারেন, ওই অভিযুক্ত সেখানে নেই। এমনকি জেলটাই আর সেখানে নেই। পরে জানা যায়, ওই জেলের সব বিচারাধীন বন্দিকে বারুইপুরে নতুন সংশোধনাগারে রাখা হয়েছে। সেখানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুদীপ্ত সেখানেও নেই।’’ সিবিআইয়ের কলকাতা দফতরে যোগাযোগ করে ঝাড়খণ্ডের তদন্তকারীরা জানতে পারেন, সুদীপ্ত আছেন আলিপুরেরই প্রেসিডেন্সি জেলে। সেখানে গিয়ে নোটিস দেওয়া হয়।
সুদীপ্তের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে। আদালত সূত্রের খবর, আলিপুর অতিরিক্ত বিচার বিভাগীয় বিচারক, কলকাতা বিচার ভবন ও বিধাননগর আদালতে ওই তিন মামলারই মূল নথিপত্রে সুদীপ্তের ঠিকানা হিসেবে এখনও আলিপুর জেলেরই উল্লেখ আছে। ২০১৩ সালের ২৩ এপ্রিল কাশ্মীর থেকে সুদীপ্ত-দেবযানীকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসার পরে তাঁদের ওই জেলে রাখা হয়েছিল। সুদীপ্তের আইনজীবী বিপ্লব গোস্বামী বলেন, ‘‘মূল নথিতে ঠিকানা পরিবর্তন করা হয়নি। তবে আমার মক্কেলকে কোনও আদালতে পেশ করা হলে তার পরে কাগজপত্রে এটা লেখা হয় যে, তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’’
আলিপুর আদালতের খবর, ২০১৮-র ১৪ নভেম্বর আলিপুর জেলের বন্দিদের বারুইপুর জেলে সরানোর কাজ শুরু হয়। নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখতে জেলকর্তা ও পুলিশকর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠকের পরে বিচারক মনে করেছিলেন, সুদীপ্তকে বারুইপুরের বদলে প্রেসিডেন্সি জেলে রাখাই নিরাপদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy