এর আগে কার্শিয়াং পুরসভার মোর্চা কাউন্সিলরেরা আস্থা জানিয়েছিলেন বিনয় তামাঙ্গের প্রতি। রবিবার দার্জিলিং পুরসভাতেও একই ছবি দেখা গেল। মোর্চা সূত্রে খবর, দু’এক দিনের মধ্যে বিনয়ের দিকে চলে আসতে পারে কালিম্পং পুরসভাও। এই ভাবে যখন জিটিএ-র চেয়ারম্যানের প্রতি আস্থা বাড়ছে রোজ, তখন নিরাপত্তা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে পাহাড়-জঙ্গলে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মোর্চা প্রধান বিমল গুরুঙ্গ।
শনিবার মোর্চার প্রতিষ্ঠা দিবসে দার্জিলিঙে বড় সভা করেন বিনয়। তার ২৪ ঘণ্টা পরে ৩২ সদস্যের দার্জিলিং পুরসভার ২৩ জন লিখিত ভাবে বিনয়ের প্রতি আস্থা জানান। সেই দলে রয়েছেন কাউন্সিলরদের নেত্রী প্রতিভা রাইও। তিনি বলেন, ‘‘পাহাড়ে কোনও অশান্তি চাই না। তাই বিনয়ের প্রতি আস্থা।’’
মে মাসের পুরভোটে দার্জিলিঙে ৩১টি আসন জিতেছিল মোর্চা। বাকি আসনটি জেতেন তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থী। কিন্তু জুন মাসে গুরুঙ্গ গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন শুরু করার পরে তৃণমূল কাউন্সিলর তাদের দলে যোগ দেন বলে দাবি মোর্চার। ফলে এই পুরসভায় মোর্চাই ৩২-এ ৩২। দার্জিলিং গুরুঙ্গের খাসতালুকও। সেখানে কাউন্সিলরদের শিবির বদল তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন পাহাড়ের অনেকে।
বিনয় এ দিন গুরুঙ্গকে কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘জঙ্গলে লুকিয়ে আর কেউ পাহাড়কে অশান্ত করতে পারবে না।’’ সূত্রের খবর, কালিম্পঙেও হাওয়া ঘুরছে। গুরুঙ্গের ডান হাত বলে পরিচিত স্যামুয়েল গুরুঙ্গ গত শুক্রবার বিনয়কে সমর্থন জানান। শনিবার সেখানে মোর্চার পার্টি অফিস থেকে গুরুঙ্গের ছবি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। দু’এক দিনের মধ্যে এই পুরসভাও বিনয়ের পাশে দাঁড়াবে বলে পাহাড়ে জোর আলোচনা। মোর্চার চা শ্রমিক এবং ব্যবসায়ী সংগঠনও বিনয়ের সঙ্গে চলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
‘প্রতিপক্ষ’ যখন এ ভাবে শক্তি বাড়াচ্ছেন, তখন বিমল পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সিআইডি সূত্রের খবর, শনিবার নামচি পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে জোরথাং এলাকার এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। বাড়িটি তালাবন্ধ ছিল। পাশের আরও দু’টি বাড়িও বাইরে থেকে তালাবন্ধ ছিল। মনে করা হচ্ছে, এরই কোনও একটিতে গুরুঙ্গ ছিলেন এবং আগাম খবর পেয়ে পালিয়ে যান। সিআইডি-র এক শীর্ষ কর্তার দাবি, গত কয়েক দিন ধরে ওই এলাকায় বসে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস পালনের পরিকল্পনা এবং পাহাড়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন গুরুঙ্গ। ওই কর্তার দাবি, সময়মতো আবার অভিযান হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy