Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

প্যান্ডেলের পরে এ বার বিজেপির সরকার ভাঙবে: তৃণমূল

একুশের মঞ্চে খোঁচাটা দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। সেই সুর আরও চড়ল পাল্টা সভায়। মেদিনীপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব বললেন, ‘২০১৮-য় প্যান্ডেল ভেঙেছে। ২০১৯-এ বিজেপির সরকার ভাঙবে।’ 

দুপুর ২টো ২০-তে মেদিনীপুর কলেজ-কলেজিয়েট স্কুলের মাঠে বক্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

দুপুর ২টো ২০-তে মেদিনীপুর কলেজ-কলেজিয়েট স্কুলের মাঠে বক্তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৮ ০২:৫৯
Share: Save:

একুশের মঞ্চে খোঁচাটা দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। সেই সুর আরও চড়ল পাল্টা সভায়। মেদিনীপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব বললেন, ‘২০১৮-য় প্যান্ডেল ভেঙেছে। ২০১৯-এ বিজেপির সরকার ভাঙবে।’

১৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভা চলাকালীন যে মাঠে ছাউনি ভেঙে বিপত্তি বেধেছিল, মেদিনীপুর শহরের সেই কলেজ-কলেজিয়েট স্কুলের মাঠেই শনিবার সভা করে তৃণমূলের। বক্তা ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিমরা। সকলের বক্তব্যেই ফিরে ফিরে এসেছে মোদীর সভায় ছাউনি ভাঙার প্রসঙ্গ। পার্থবাবুর কটাক্ষ, “ওরা মঞ্চটাও ঠিকমতো বাঁধতে পারেনি!” কল্যাণ আবার বলেন, “ওরা (বিজেপি) বলছে, এ রাজ্যে না কি ২২টা সিট পাবে। ঠিকই, ওই দিন (দুর্ঘটনার পরে) মেদিনীপুরের হাসপাতালে ২২টা সিটই পেয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রীর সভার দিন ঠাসা মাঠেই ছাউনি ভাঙে। ৯৩ জন জখম হন। এ দিনও যথেষ্ট ভিড় ছিল। বৃষ্টিও হয়নি। মঞ্চে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, “বিপুল এই জনতাকে আনতে তৃণমূল কোটি কোটি টাকা খরচ করেনি। কিন্তু পরিযায়ী পাখিরা (বিজেপির ভিন্ রাজ্যের নেতারা) সে দিন ১৫-২০ কোটি টাকা খরচ করে ঝাড়খণ্ড থেকে, বিহার থেকে, ওড়িশা থেকে গাড়ি ভর্তি করে এখানে লোক নিয়ে এসেছিলেন।”

তখন দুপুর ১টা ২০। মঞ্চে পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

ঝাড়খণ্ড, ওড়িশার বেশ কিছু গাড়ির নম্বর উল্লেখ করে অভিষেকও বলেন, ‘‘১৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী সভা করেছিলেন এই মাঠে। পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলো থেকে লোক এনেছিল। আমি চ্যালেঞ্জ করছি। এখনও অগস্ট মাস বাকি রয়েছে। আপনাদের (বিজেপির) সর্বভারতীয় সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি, যদি রাজনৈতিক ভাবে লড়াই করার দম থাকে, বাংলার যে কোনও প্রান্তে বর্ষাকালে ছাউনি ছাড়া এত বড় মাঠে একটা সভা করে দেখান।”

তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতির দাবি, “একটা জেলার মানুষকে নিয়ে এত বড় সভা কখনও হয়নি।” বিজেপি অবশ্য বিঁধতে ছাড়ছে না। দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি শমিত দাশের কথায়, “পুরুলিয়ার পরে মেদিনীপুরেও বোকামি করে তৃণমূল পাল্টা সভা করল। মোদীজির সভায় যে লোক হয়েছিল, তৃণমূলের সভায় তার এক তৃতীয়াংশও হয়নি।” আর বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘মেদিনীপুর থেকে অনেক বাস ওড়িশা, ঝাড়খণ্ডে যায়। সেগুলো বাংলারই বাস। সেই বাস ভাড়া করা হয়েছিল। তৃণমূল এ সব বলে নিজেদের মাঠ ভরাতে না পারার অক্ষমতা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।’’

ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল এবং নিজস্ব চিত্র

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE