ভিক্টোরিয়া হাউশের সামনে যুব কংগ্রেসের বিক্ষোভ। নিজস্বা চিত্র।
বিদ্যুতের বাড়তি বিল নিয়ে সিইএসসি-র ঘোষণাতেও অসন্তোষ মিটছে না। অস্বাভাবিক বিলের প্রতিবাদে বিক্ষোভের পথেই থাকল বিরোধী দলগুলি এবং আরও নানা সংগঠন। সিইএসসি-র সঙ্গে বৈঠকের পরে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হননি রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ও। ওই বিদ্যুৎ সংস্থা স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়ে জুন মাসের নতুন বিল না পাঠানো পর্যন্ত কোনও টাকা না দেওয়ার জন্য গ্রাহকদের অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
সিইএসসি-র সদর দফতর ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে সোমবার প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি শাদাব খানের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখান যুব কর্মীরা। তাঁদের বক্তব্য, এপ্রিল ও মে মাসের বিল স্থগিত রাখলে হবে না। লকডাউন ও দুর্যোগের মধ্যে ওই বিল পুরোপুরি ছাড় দিতে হবে। একই প্রশ্নে এ দিন তারাতলার সিইএসসি দফতরে বিক্ষোভ দেখিয়ে দাবিপত্র দেওয়ার পাশাপাশি সংস্থাকে ঝাড়ু ‘উপহার’ দিয়েছেন দক্ষিণ কলকাতা জেলা কংগ্রেসের সভাপতি আশুতোষ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর সতীর্থেরা। ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে এ দিন বিদ্যুতের বাড়তি বিল নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে দাবিপত্র দেওয়া হয়েছে নাগরিক সমাজের তরফেও। বিক্ষোভ-অবস্থান করেছে অ্যাবেকা-ও।
বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী এ দিন বলেন, ‘‘মন্ত্রী বলেছেন, সিইএসসি এখনও স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেনি। এপ্রিল ও মে মাসের বিল আপাতত নেওয়া হবে না বললে চলবে না, বাতিল করতে হবে। জুন মাসের বিল নতুন করে দিতে হবে, সেটাও যা খুশি হলে হবে না। তার আগেই কেউ কলকাতা জিতেছে বলে দিলে হয় না!’’ সুজনবাবুর বক্তব্য, সিইএসসি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ সংস্থা, দু’পক্ষেরই ‘ভূতুড়ে বিলে’র বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে। লকডাউনের মধ্যে ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের মাসুল মকুব করার দাবিও জানিয়ে আসছে বাম ও কংগ্রেস।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষেরও বক্তব্য, ‘‘সমস্যার সমাধান হয়নি। দু’মাসের বিল পরে আবার বকেয়া হিসেবে নেওয়া হবে কি না, সেটা পরিষ্কার করতে হবে। যাঁরা টাকা দিয়ে ফেলেছেন, তাঁদের কী হবে?’’ দিলীপবাবুর মতে, মানুষের ধৈর্যের সীমা ভেঙে গিয়েছে। তাঁরা এ সব ঘোষণায় বিশ্বাস করতে পারছেন না। সিইএসসি-র একচেটিয়া ব্যবসা এবং তিন মাসের বিল দেওয়ার পদ্ধতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy