লোকসভা ভোটে আসন সমঝোতা নিয়ে বৈঠক চলছিল প্রদেশ কংগ্রেসের নির্বাচন কমিটির। সেই সময়েই বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে দলেরই কর্মী-সমর্থকদের একাংশের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে উঠল প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর বিধান ভবন চত্বর। গোটা বিধান ভবন জুড়েই ‘মান্নান হটাও, হুগলি কংগ্রেস বাঁচাও’ লেখা পোস্টার সেঁটে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। হুগলি থেকে এসে ব্যানার-পোস্টার নিয়ে যাঁরা বুধবার বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন, তাঁদের বেশির ভাগই জেলা রাজনীতিতে সোমেন মিত্রের ‘অনুগামী’ বলে কংগ্রেসের একাংশের দাবি।
ঘটনার সময়ে মান্নান অবশ্য বিধান ভবনে ছিলেন না। বিরোধী দলনেতা জেলায় দলের কর্মীদের প্রতি ‘দুর্ব্যবহার’ করেন, পদে থাকার জন্য রাজনীতি করেন— এই রকম নানা অভিযোগে স্লোগান দিয়ে চলে বিক্ষোভ। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেনবাবু-সহ রাজ্য দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তখন দফতরে উপস্থিত। পরে কাউন্সিলর ও প্রদেশ ইস্তাহার কমিটির আহ্বায়ক সন্তোষ পাঠকের সঙ্গে বিধান ভবনে পৌঁছন বিরোধী দলনেতা। যুব কংগ্রেসের এক দল কর্মী-সমর্থক তাঁর পক্ষে স্লোগান দিতে থাকেন। তাঁদের দাবি, লক্ষ্মণ শেঠকে দলে নেওয়ার চেষ্টার বিরোধিতা করেছিলেন বলেই মান্নানকে ‘হেনস্থা’ করার চক্রান্ত হয়েছে। সোমেনবাবু বা মান্নান কেউই অবশ্য প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। তবে ঘটনার কথা জানিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীকে চিঠি দিচ্ছেন বিরোধী দলনেতা। রাহুলকে তিনি জানিয়ে দিচ্ছেন, দলের সদর দফতরে তাঁর যখন নিরাপত্তা নেই, তিনি আর বামেদের সঙ্গে সমঝোতার আলোচনায় দলের ‘দায়িত্ব’ পালনে অপারগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy