ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্বের ‘সন্ত্রাসে’র অভিযোগ ঘিরে মঙ্গলবার উত্তপ্ত হল বিধানসভা। আর বাইরে রাজ্যের নানা জেলা ও শহরে ‘গণতন্ত্র হত্যা’র প্রতিবাদে ধর্না-অবস্থানে শামিল হল বামেরা।
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন থেকে গণনা-পর্বে কী ভাবে ‘সন্ত্রাস’ চলেছে, তা নিয়ে কংগ্রেস এবং বামেদের আনা মুলতবি প্রস্তাব এ দিন বিধানসভায় খারিজ হয়ে যায়। প্রতিবাদে সভাকক্ষে বিক্ষোভ দেখিয়ে এবং ওয়াক আউট করে বাকি দিনের জন্য অধিবেশন বয়কট করে দুই বিরোধী দল।
প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁর কাছে মুলতবি প্রস্তাব জমা পড়েছে। কিন্তু বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন এবং নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারভুক্ত। তাই এই বিষয়ে বিধানসভায় আলোচনা করা যাবে না। করলে তা হবে ‘আউট অব অর্ডার’। স্পিকারের এই ঘোষণামাত্রই কংগ্রেস এবং বাম বিধায়কেরা প্ল্যাকার্ড নিয়ে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন। তুমুল হইচই করে শেষ পর্যন্ত তাঁরা সভা থেকে ওয়াক আউট করেন। বাইরে মিছিল করে অম্বেডকরের মূর্তির নীচে গিয়ে বিক্ষোভ সভা করেন তাঁরা।
পরে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটে কত আসনে শাসক দল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে, তা নিয়ে আলোচনা চাইনি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এবং পরে যে সন্ত্রাস চলেছে, তা নিয়ে আলোচনা চেয়েছিলাম। সেটাও করতে পারব না? সেটা তো আদালতের বিচারাধীন বিষয় নয়!’’ মান্নানের মতে, ‘‘আলোচনা হলে শাসক দলের হাতে যে খুন হচ্ছে, জনপ্রতিনিধিরাও আক্রান্ত হচ্ছেন, সেটা বিধানসভার নথিতে রেকর্ড হয়ে যেত। তাই সরকার ভয় পেয়ে আলোচনা করতে দিল না।’’ বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীও বলেন, ‘‘মানুষের জন্য ওই আলোচনা জরুরি ছিল। কিন্তু সরকার ভয়ে তা করতে দিল না।’’
পশ্চিমবঙ্গ এবং ত্রিপুরায় গণতান্ত্রিক অধিকার হত্যার প্রতিবাদে দিল্লিতে সংসদের সামনে এ দিনই অবস্থান করেছে সিপিএম, সিপিআই, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক এবং সিপিআই (এমএল) লিবারেশন। তারই সমর্থনে পশ্চিমবঙ্গের জেলা সদরগুলিতেও অবস্থান-বিক্ষোভ হয়। শিয়ালদহ এবং হাওড়া স্টেশনে সভা করেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র ও সুজনবাবু। সূর্যবাবু বলেন, ‘‘গণতন্ত্র আক্রান্ত হলে ধর্মনিরপেক্ষতাও বাঁচে না। আমাদের লড়াই এই সবের বিরুদ্ধে।’’ সোশ্যাল মিডিয়ায় এ দিন থেকেই ‘লেফট উইল রেজ়িস্ট’ নামে প্রচারাভিযান শুরু করেছে বামেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy