ফাইল চিত্র।
নবান্নে করোনা বিধি মানা হচ্ছে কঠোর ভাবে। অর্ধেক কর্মী দিয়ে অফিসে চলছে। জীবাণুমুক্তিও চলছে নিয়ম করে। ভিআইপি লিফটের ধারেকাছে কাউকে ঘেঁষতে দিচ্ছে না পুলিশ। তবে সরকারি দফতরে এ বার সপ্তাহে পাঁচ দিনই সকলকে নিয়ে ফের কাজ চালু করতে চাইছে সরকার। ‘দুয়ারে সরকার’ ও ‘পাড়ায় সমাধান’ কর্মসূচিতে জেলায় যে-ব্যস্ততা শুরু হয়েছে, তাতে সব দফতরের কর্মী-অফিসারদের রোজ হাজিরা নিশ্চিত করতে চাইছে নবান্ন।
কৃষি দফতর নির্দেশ জারি করে সব কর্মীকে নিয়মিত হাজিরার নির্দেশ দিয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, সব কর্মী-অফিসার নিয়ে অফিস চালু করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে নবান্নেও। কৃষিসচিব সুনীল গুপ্ত মঙ্গলবার নির্দেশিকা জারি করে ওই দফতরের সব অফিস, বীজ নিগমের মতো
ওই দফতরের অধীন সব সংস্থার কর্মীদের রোজ হাজিরা দিতে বলেছেন। লিখেছেন, এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। দুয়ারে সরকার প্রকল্পে গ্রাম পঞ্চায়েতে, পুরসভার ওয়ার্ড-ভিত্তিক শিবিরে তিন দফায় পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। চতুর্থ দফার শিবির বাকি। আছে পাড়ায় সমাধান
প্রকল্পও। দুয়ারের সরকারে আবেদনের নিষ্পত্তি এবং পাড়ায় সমাধান প্রকল্পে পরিষেবা দেওয়ার জন্য লোকবল চাই। তাই কৃষি দফতরের সব অফিস পূর্ণ সময় খুলে রাখতে হবে। কাজে যোগ দিতে হবে সব কর্মীকেই।
চুক্তি-কর্মীদেরও অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।
ওই দুই কর্মসূচিতে কর্মীদের মাসে ৫০০০ টাকা টিফিন ভাতা দেওয়া হচ্ছে। স্বেচ্ছাসেবকেরাও ভাতা পাবেন। যদিও তা না-পাওয়ায় অনেক স্বেচ্ছাসেবকই অভিযানে আসছেন না বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।
দফতরগুলি কর্মীদের হাজিরা নিয়ে কড়াকড়ি শুরু করায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পুলিশকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হলেই সরকার এক লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু অন্তত ১০,০০০ পুলিশকর্মী তা পাননি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy