প্রতীকী ছবি।
রথ দেখার সঙ্গে কলা বেচাও হোক, চায় কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। কিন্তু পুজোর মেলায় কলা বেচার জায়গা কোথায়? কপালে ভাঁজ বাংলার কংগ্রেস নেতাদের!
লোকসভা ভোটের বেশি দেরি নেই। তাই উৎসবের মরসুমেও নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে যেতে চায় এআইসিসি। রাফাল-দুর্নীতি, জ্বালানির চড়া দাম, কর্মসংস্থানের অভাব বা টাকার পড়তি দাম— এ সব জ্বলন্ত প্রশ্ন উৎসবে বেরোনো মানুষের চোখের সামনে রাখতে চায় তারা। এআইসিসি-র প্রচার কমিটির ভারপ্রাপ্ত নেতা আনন্দ শর্মা রাজ্য কংগ্রেসকে চিঠি পাঠিয়ে বলেছেন, ওই সব বিষয়ে ব্যানার-হোর্ডিং-ফেস্টুন তৈরি করে প্রচারে নামতে হবে। পুজো মণ্ডপ বা গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার মোড়, যেখানে জনসমাগম হয়, সেখানেই ওই ধরনের প্রচার সামগ্রী টাঙাতে হবে। সম্ভব হলে লিখতে হবে দেওয়ালেও।
কংগ্রেসের নেতা আর পি এন সিংহ বলেন, ‘‘আর মাসছয়েক পরেই লোকসভা ভোট। দীপাবলি পর্যন্ত উৎসবের মেজাজেই থাকবেন মানুষজন। তাই বলে তো রাজনীতি থেমে থাকতে পারে না। পুজোর সময় মানুষের উদ্দীপনা থাকে। এই সময়ে উৎসবের সঙ্গেই প্রচারের মিশেল ঘটালে রথ দেখা, কলা বেচাও হয়।’’
কলকাতায় বিধান ভবনের কাছে আনন্দের ওই নির্দেশিকা এসেছে দিনদুয়েক আগে। তত দিনে পুজোর কলকাতায় সব আনাচ-কানাচ ভরে গিয়েছে বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংয়ে। সেখানে বা মণ্ডপের চত্বরে এখন আর কংগ্রেসের রাজনৈতিক হোর্ডিং লাগানো দুরূহ ব্যাপার। পুজোর পরে এবং কালীপুজোর সময়ের দিকেই আপাতত তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে প্রদেশ নেতৃত্বকে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের কথায়, ‘‘এখন প্রচারের হোর্ডিং লাগানোর জায়গা পাওয়া মুশকিল। আর কংগ্রেসের তো পুজো মণ্ডপে স্টলও নেই। তবু আমরা চেষ্টা করব।’’
প্রদেশ কংগ্রেসের প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে বিষয়টি এখন অধীর চৌধুরীর দায়িত্বে। তিনিও বলেন, ‘‘এই নির্দেশিকা হাতে পেতে দেরি হয়ে গিয়েছে। পুজোর মধ্যে প্রচার করার জন্য লোকজন জোগাড় করা মুশকিল। তার উপরে প্রচারের জায়গা পাওয়ার সমস্যা। তবে সব জেলা সভাপতিদের ওই নির্দেশিকা পাঠিয়ে বিষয়টা দেখতে বলেছি।’’ জেলায় জেলায় তৈরি করা হচ্ছে প্রচার কমিটিও।
দুর্গাপুজোর মওকা হাত থেকে বেরিয়ে গিয়েছে ধরে নিয়েই পরবর্তী সুযোগের প্রতীক্ষায় প্রদেশ কংগ্রেস!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy