Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

বিমান বিভ্রাটে ফিরতে দেরি

ড্রিমলাইনার বিমানে আগেও বহু বার ত্রুটি ধরা পড়েছে। কিন্তু এয়ার ইন্ডিয়ার দাবি, সেই সব ত্রুটি সারানো হয়েছে। এ দিনের গোলযোগ নেহাতই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এ দিন সন্ধ্যায় যে বিমানটি মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে উড়েছে, সেটিও ড্রিমলাইনার।

ভোগান্তি: কলকাতায় নামার পরে মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার। —নিজস্ব চিত্র।

ভোগান্তি: কলকাতায় নামার পরে মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৭ ০৪:২৩
Share: Save:

যান্ত্রিক বিভ্রাটে তিন ঘণ্টা বিমানেই বসে থাকতে হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পরে অন্য বিমানে দিল্লি থেকে কলকাতায় ফেরেন তিনি।

বিমানবন্দর সূত্রের খবর, শনিবার দিল্লি থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানে কলকাতা ফেরার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। দুপুরে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে ওঠেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ২৫১ জন যাত্রী। ২টো ২০ মিনিটে বিমান ছাড়ার কথা। তার কিছু ক্ষণ আগেই ড্রিমলাইনার বিমানটিতে যান্ত্রিক গোলযোগ ধরা পড়ে। বিমান সংস্থার ইঞ্জিনিয়ারেরা এসে সারানোর চেষ্টা শুরু করেন। তিন ঘণ্টা চেষ্টার পরেও ত্রুটি সারাতে না পারায় মুখ্যমন্ত্রী-সহ যাত্রীদের অন্য বিমানে তোলা হয়। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ দিল্লি থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী।

ড্রিমলাইনার বিমানে আগেও বহু বার ত্রুটি ধরা পড়েছে। কিন্তু এয়ার ইন্ডিয়ার দাবি, সেই সব ত্রুটি সারানো হয়েছে। এ দিনের গোলযোগ নেহাতই বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এ দিন সন্ধ্যায় যে বিমানটি মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে উড়েছে, সেটিও ড্রিমলাইনার। এ দিন উড়ানে বিলম্ব হওয়ায় অনেকেই এয়ার ইন্ডিয়াকে দুষেছেন। যাত্রীদের কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন, বিমানে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। সে সময় বাতানুকূল যন্ত্র ঠিক মতো না কাজ করায় দমবন্ধ করা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ওই যাত্রীদের মধ্যে বহু বিদেশি নাগরিকও ছিলেন। যান্ত্রিক গোলযোগ সারানোর নামে মূল্যবান সময়ও নষ্ট করা হয়েছে। তার বদলে আগেই অন্য বিমানে কলকাতায় পাঠানোর ব্যবস্থা করা উচিত ছিল বলে দাবি করেছেন যাত্রীদের অনেকে। এ দিন রাতে কলকাতায় নামার পরে বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকেরা তাঁকে জিগ্যেস করায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমার একার তো নয়, যান্ত্রিক ত্রুটিতে সব যাত্রীরই অসুবিধা হয়েছে!’’

এয়ার ইন্ডিয়া অবশ্য বাতানুকূল যন্ত্র ঠিক মতো কাজ না-করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এমন কোনও অভিযোগ মেলেনি। এসি মেশিন পুরোদমে কাজ করেছে। বিমানে যাত্রীদের জলখাবারের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। সারানোর নামে বিলম্বের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিমানসংস্থার বক্তব্য, এক বিমান থেকে অন্য বিমানে যাত্রীদের নিয়ে যেতে হলে টারম্যাক থেকে ‘অ্যারাইভাল’ গেট দিয়ে বাইরে নিয়ে গিয়ে ফের ‘ডিপার্চার’ গেট দিয়ে ভিতরে ঢোকাতে হতো। তাতে যথেষ্ট দুর্ভোগ হতো যাত্রীদের। ভিআইপি যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই সেটা করা হয়নি। তার বদলে দ্রুত ত্রুটি মেরামতির চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তা না হওয়ার ফলেই শেষমেশ অন্য বিমানের ব্যবস্থা করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE