Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

মিথ্যা মামলায় কর্মীরা ধৃত, দাবি বাবুলের

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ধৃতদের আসানসোল আদালতে নিয়ে আসে বারাবনি থানার পুলিশ। সকাল থেকেই আদালত চত্বরে প্রচুর পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছিল। ধৃতদের আদালতে আনার পরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন কয়েকশো কর্মী-সমর্থক।

 আসানসোল আদালতে তোলা হচ্ছে ধৃতদের। নিজস্ব চিত্র

আসানসোল আদালতে তোলা হচ্ছে ধৃতদের। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০১৯ ০১:১২
Share: Save:

বিজেপি-র মোটরবাইক মিছিল থেকে পুলিশকে মারধরের অভিযোগে ধৃত ১২ জনকে সোমবার আসানসোল আদালতে তোলা হয়। অভিযুক্ত দু’জনকে চার দিন পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়। বাকি দশ জনের ১৪ দিন জেল-হাজত হয়েছে। আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের দাবি, মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে তাঁদের কর্মীদের। যদিও তা অস্বীকার করে পুলিশ জানায়, ধৃতদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মীকে কর্তব্যে বাধা ও মারধরে জড়িত থাকার অভিযোগে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা করা হয়েছে।

সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ ধৃতদের আসানসোল আদালতে নিয়ে আসে বারাবনি থানার পুলিশ। সকাল থেকেই আদালত চত্বরে প্রচুর পুলিশ ও কমব্যাট ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছিল। ধৃতদের আদালতে আনার পরেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন কয়েকশো কর্মী-সমর্থক। পুলিশি পাহারায় ধৃতদের আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। বারাবনি থানার তরফে দুই বিজেপি নেতা অমল রায় ও সনৎ মণ্ডলকে নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন করা হয়। বিচারক তাঁদের চার দিন পুলিশি হেফাজতে পাঠান।

রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ আসানসোলের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের নেতৃত্বে বারাবনির নুনি থেকে শ’তিনেক বিজেপি কর্মী-সমর্থকের মোটরবাইক মিছিল বেরোয়। মিছিলটি আমডিহা মোড়ে পৌঁছলে পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করে। কয়েকটি বাইকের চাবিও খুলে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এর পরেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। আসানসোল উত্তর থানার ওসি শান্তনু অধিকারী-সহ জনা তিনেক পুলিশকর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে বারো জন বিজেপি নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ করেছেন বাবুল। সোমবার তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘পুলিশই আমাদের কর্মীদের লাঠিপেটা করেছে। আবার উল্টে আমাদের লোকজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে জেলে ভরেছে। পুলিশ এখানে তৃণমূলের বাহিনীতে পরিণত হয়েছে।’’ বিজেপি-র জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘোড়ুইয়ের হুঁশিয়ারি, নেতা-কর্মীদের জেলে ভরার বিরুদ্ধে জেলা জুড়ে আন্দোলন হবে।

বাবুলের অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি ভি শিবদাসনের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘আসানসোল শান্তিপ্রিয় এলাকা। এখানকার বাসিন্দারা রাজ্যের উন্নয়নমূলক কাজের সাক্ষী। কিন্তু সাংসদ এসে আসানসোলে অশান্তি ছড়াচ্ছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE