পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্তার নাম ও পদ জানতে চেয়ে ২০০৮ সালের মার্চে তথ্য আইনে আবেদন করেছিলেন কলকাতার বাসিন্দা অমিতাভ চৌধুরী। উত্তর না পাওয়ায় ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যের তথ্য কমিশনে যান তিনি। ন’বছর পরে ২০১৮ সালের মার্চে তাঁর আবেদন শোনা হয়।
দেশের ২৯টি তথ্য কমিশনের কাজকর্ম নিয়ে দিল্লির দু’টি সংস্থার সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে পশ্চিমবঙ্গের এই ঘটনা। রিপোর্ট বলছে, ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই রাজ্যে আবেদন জমা রয়েছে ৮১৯৫টি। শুনানি করে সব আবেদনের নিষ্পত্তি হতে সময় লাগতে পারে প্রায় ৪২ বছর। কারণ, এখানে বছরে ২৪৭১টি আবেদন নথিভুক্ত হয়। নিষ্পত্তি হয় ৩৪৯টির। রাজ্যের তথ্য কমিশনের অবশ্য দাবি, এখন আবেদনে দ্রুত সাড়া দেওয়া হচ্ছে।
২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সমীক্ষা চালিয়েছে ‘সতর্ক নাগরিক সংগঠন’ ও ‘সেন্টার ফর ইকুইটি স্টাডিজ’। তাতে বলা হয়েছে, তথ্য কমিশনগুলিতে লোকাভাব থাকায় মূল কাজ ব্যাহত হচ্ছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, তথ্য জানার অধিকার আইন থাকলেও ঠিক সময়ে উত্তর পাচ্ছেন না গোটা দেশের সাধারণ মানুষ। পিছিয়ে রয়েছে কেরল, ওড়িশা। ওড়িশায় নথিভুক্ত হয় ৭০৬৭টি আবেদন। নিষ্পত্তি হয়েছে বছরে ৩৫৯৬টি। কেরলে প্রায় ১৪ হাজার আবেদনের কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি।
উত্তর দিতে সময় লাগবে ছ’ বছর ছ’মাস। কারণ, এখানে বছরে প্রায় ৪ হাজার আবেদনের নিষ্পত্তি হয়। ওড়িশার ১০ হাজারের মতো আবেদন জমা পড়ে রয়েছে। সে ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের কিছু বেশি সময় লাগবে উত্তর দিতে। কারণ, এখানেও দ্রুত নিষ্পত্তি করা হয়। তুলনায় এগিয়ে আছে ত্রিপুরা, গুজরাত, হরিয়ানা, পঞ্জাব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy