Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

বিজেপির গাড়ি ভাঙার নালিশ

এসডিপিও (বিষ্ণুপুর)  সুকোমলকান্তি দাস বলেন, ‘‘বিজেপির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পাত্রসায়র থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
পাত্রসায়র শেষ আপডেট: ১৫ মার্চ ২০১৯ ০০:৫৮
Share: Save:

যদুভট্ট মঞ্চে বৃহস্পতিবার দলীয় কর্মিসভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে কয়েকজন বিজেপি নেতা-কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল। বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের দাবি, তিনি ওই বিষয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন।

জয়প্রকাশ জানান, এ দিন বিজেপির শক্তিকেন্দ্র এবং মণ্ডল সভাপতিদের নিয়ে দলীয় সভা ছিল বিষ্ণুপুরের যদুভট্ট মঞ্চে। তাঁর অভিযোগ, বর্ধমান থেকে পাত্রসায়রে ঢোকার মুখে তাঁদের চারটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। মারধর করা হয় কর্মীদের।

এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) সুকোমলকান্তি দাস বলেন, ‘‘বিজেপির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পাত্রসায়র থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি স্বপন ঘোষ অভিযোগ করেন, ‘‘বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে খণ্ডঘোষ রয়েছে। সেখান থেকে দলের কর্মীরা কয়েকটি গাড়িতে চেপে লোকসভা ভোটের প্রস্তুতির জন্য এ দিন বিষ্ণুপুর আসছিলেন। পাত্রসায়র থানার অদূরে গাড়িগুলি দাঁড় করিয়ে কর্মীদের মারধর করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। কর্মীদের সঙ্গে থাকা টাকা-পয়সাও ছিনতাই করে তারা।’’

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

তাঁর আরও অভিযোগ, ‘‘আমাদের দলের বেশ কয়েক জন কর্মীকে অনেকক্ষণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। সাত জন কর্মীকে মারধর করা হয়। পাত্রসায়র থানায় লিখিত অভিযোগ দয়ারে করা হয়েছে।’’

মনোজ মণ্ডল নামে এক বিজেপি কর্মীর অভিযোগ, ‘‘আমাদের গাড়ি পাত্রসায়র থানার কাছাকাছি আসতেই কয়েক জন লাঠি নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। গাড়ি থামিয়ে আমাদের মারতে শুরু করে ওই লোকজন। বিজেপি করার জন্যই আমাদের মারধর করা হয়। সব কিছু ছিনিয়ে নেয় ওরা। পালিয়ে প্রাণে বেঁচেছি।’’

স্বপনবাবুর দাবি, সুদাস মহন্ত নামে গুরুতর আহত এক দলীয় কর্মীকে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাঁর অভিআযোগ, দুষ্কৃতীরা অস্ত্র হাতে তাণ্ডব চালালেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ছিল। যদিও পুলিশ নিষ্কিয় থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের দাবি, ‘‘সরকার পক্ষের লোকজন আমাদের দলের কর্মীদের মারধর করেছে।’’ তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেন। বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল সাঁতরার দাবি, ‘‘তৃণমূলের কোনও কর্মী ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়। বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণে ওই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তৃণমূল কর্মীরা এখন প্রচারে ব্যস্ত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Lok Sabha Election 2019 BJP Violence TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE