অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র।
পর পর দু’জন বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে অশান্ত পুরুলিয়া জেলায় যেতে চান বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। আগামী ২৭ জুন দু’দিনের বঙ্গ সফরে আসার কথা শাহের। ২৭ এবং ২৮ জুনের মধ্যে এক দিন তাঁর পুরুলিয়ার বলরামপুরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে পঞ্চায়েত ভোটের আগে জগন্নাথ টুডু এবং ভোটের পরে ত্রিলোচন মাহাতো ও দুলাল কুমার— এই তিন বিজেপি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। ত্রিলোচন এবং দুলাল— দু’জনের মৃত্যুর পরেই শাহ তৃণমূল সরকারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থতা নিয়ে টুইট করেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মঙ্গলবার জানান, এ বার রাজ্য সফরে এসে বলরামপুরে ত্রিলোচন এবং দুলালের বাড়ি গিয়ে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন শাহ। বিজেপির বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ১৭ থেকে ২২ জুনের মধ্যে ২০টি জেলায় জেলাশাসকের দফতর ঘেরাও করা হবে রাজ্যে গণতন্ত্র হত্যার প্রতিবাদে।
শাহের সফর সম্পর্কে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘তিনি যত আসবেন, তত বিজেপির ভোট কমবে। উনি বার বার আসুন, সেটাই চাই। আর পুরুলিয়ার ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে বিজেপি আদালতে যাক, যা ইচ্ছে করুক। আমি তো শুধু বিরোধীশূন্য করার কথা বলেছিলাম। ওরা যে কংগ্রেসমুক্ত ভারত গড়ার কথা বলে। তা হলে কংগ্রেসের যাঁরা মারা যাচ্ছেন, তাঁদের মৃত্যুর দায় তো বিজেপির।’’
বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) রামলাল সোমবার রাতে কলকাতায় এসেছেন। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং সহ সভাপতি সুভাষ সরকারকে নিয়ে মঙ্গলবার দুই বিশিষ্ট নাগরিকের বাড়ি গিয়ে দেখা করেন রামলাল। ভোটের পরে দলীয় বিস্তারকদের দ্বিগুণ উৎসাহে কাজে ঝাঁপানোর নির্দেশ দিয়েছেন শাহ। রামলালও এ দিন দলের বিস্তারকদের বৈঠকে বুথ স্তরে সংগঠন মজবুত করার নির্দেশ দেন। রাজ্য বিজেপির বিশিষ্টজনেদের সঙ্গেও রামলালের কথা হয়েছে। রাজ্য স্তরে অন্তত ১০০ এবং প্রতি জেলায় ১০০ জন করে বিশিষ্টজনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: তৃণমূল নেতা খুনে রণক্ষেত্র বাগনান, মার খেলেন সাংবাদিকরাও
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy