নদী পেরোতে না পেরে তিস্তায় দলছুট হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে একটি মাকনা হাতি। বৃহস্পতিবার সকালে শিলিগুড়ির অদূরে গজলডোবায় তিস্তা ব্যারাজের বড়জোর ৫০০ মিটার দূরের ঘটনা। সকাল থেকে হাতিটিকে জলের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে ভিড় জমে যায়। বেলা বাড়তে বন দফতরের অফিসার-কর্মীরা সেখানে পৌঁছে যান। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের মিলনপল্লি ফাঁড়ির পুলিশকর্মীরাও সেখানে পৌঁছন। কৌতূহলী জনতা যাতে চেঁচামেচি করে ঢিল ছুড়ে হাতিটিকে উত্যক্ত না করে সে জন্য ব্যারাজের ওই এলাকায় যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ শুরু করে পুলিশ। দুপুর ৩টে পর্যন্ত হাতিটি নদী থেকে উঠতে পারেনি। তবে সে যাতে নিরাপদে পাড়ে উঠে বৈকুণ্ঠপুর বনাঞ্চলে ঢুকে পড়তে পারে সে জন্য তিস্তা ব্যারাজের জল সেচ দফতর কিছুটা ছেড়েছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু, যত ক্ষণ হাতিটি পাড়ে না ওঠে বিপদ কাটবে না বলে মনে করছেন বনকর্মীদের অনেকেই।
আরও পড়ুন: নেই জলও, দেরি ১১ ঘণ্টা, এই নাকি সুবিধা!
বন দফতর সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে নদী পেরোতে গিয়ে ওই এলাকায় একটি হাতির মৃত্যু হয়েছিল। নদীর পাঁকে পা বসে গিয়ে হাতিটি চলাফেরা করতে না পারায় তেমন হয়েছিল বলে বন দফতর সূত্রের খবর। এ বারেও হাতিটি কিছু ক্ষণ এক জায়গায় দাঁড়ালে পা বসে যাচ্ছে। কিন্তু, খানিক ক্ষণ পরে সে জায়গা পাল্টে ফেলায় বিপদ কেটে যাচ্ছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন। মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) সুমিতা ঘটকও ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। সেচ দফতর ও বন বিভাগের সমন্বয়ের মাধ্যমে হাতিটিকে নিরাপদে বনে ফেরানোর চেষ্টা চলছে। বন দফতর জানাচ্ছে, ওই রুটে হাতিরা বৈকুণ্ঠপুর বনাঞ্চলে যাতায়াত করে থাকে। সাধারণত হাতির নদী পেরোতে বিপদ ঘটে না। তবে বর্ষার সময়ে হাতির বাচ্চা ভেসে যাওয়ার ঘটনা ঘটেই থাকে। এ বার কোনও কারণে হাতিটি দলছুট হয়ে গিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ওই এলাকায় বৈকুণ্ঠপুরের বনে অন্তত ২৫টি হাতির একটি দল ঘোরাঘুরি করছে বলে বন দফতর জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy