প্রতীকী ছবি।
ফের জ্বরে আক্রান্ত এক মহিলার মৃত্যু হল হাবড়াতে। পশ্চিম ডহরথুবা এলাকার বাসিন্দা সবিতা ঘোষ (৪০) নামে ওই মহিলা রবিবার গভীর রাতে আরজিকর হাসপাতালে মারা যান।
এ নিয়ে হাবড়া-অশোকনগর এলাকায় জ্বর ডেঙ্গিতে মৃত্যু হল দশ জনের। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস খানেক আগে সবিতা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তখন ওষুধ খেয়ে জ্বর সেরেও যায়। শনিবার সকালে ফের সবিতা জ্বরে পড়েন। তাঁকে ভর্তি করা হয় হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে রবিবার আরজিকর হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতে সবিতা মারা যান। সবিতার মৃত্যুর শংসাপত্রে অবশ্য জ্বর ডেঙ্গির কথা উল্লেখ নেই।
সবিতার স্বামী কার্তিক পেশায় রাজমিস্ত্রি। সোমবার তিনি বলেন, ‘‘স্ত্রী জ্বরের সঙ্গে বমি করছিলেন। গা হাত পায়ে ব্যথা ছিল। চিকিৎসকেরা বলেছিলেন ডেঙ্গির লক্ষ্মণ।’’ ডহরথুবা এলাকার বাসিন্দা সুমিত্রা সেন নামে বছর একচল্লিশের এক মহিলা শনিবার রাতে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন। একই এলাকা থেকে পরপর দু’জনের মত্যুর পর এলাকায় আতঙ্ক বেড়েছে।
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, জ্বর ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়ার পর এখন পুরসভার কর্মীরা এসে বনজঙ্গল সাফ করছেন। নিকাশি নালা পরিষ্কার করছেন। কয়েকজন মহিলার কথায়, ‘‘প্রায় প্রতিটি বাড়িতে কেউ না কেউ জ্বরে আক্রান্ত। মাস দেড়েক আগে থেকে এলাকায় জ্বর-ডেঙ্গি ছড়িয়ে পড়লেও পুরসভার এতদিন কোনও পদক্ষেপ করেনি।’’
পুরসভা সূত্রে জানানো হয়েছে, অনেকেই নিজের বাড়ি ও বাড়ির বাইরে আবর্জনা জমিয়ে রাখছেন। বাড়ির মধ্যে কাঁচা নর্দমা ও গর্ত তৈরি করে জল জমিয়েও রাখছেন। তার থেকে ডেঙ্গির মশা জন্মাচ্ছে। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, পুরকর্মীরা বাড়িতে মশা মারার তেল স্প্রে করতে গেলে বা জমা জল পরিষ্কার করতে গেলে বাসিন্দাদের একাংশ বাধা দিচ্ছেন। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘এখন থেকে ওই সব পরিবারকে পুরসভার তরফে চিঠি পাঠানো হচ্ছে। চিঠিতে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, চিঠি পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পরিবারকে জমা জল, আবর্জনা পরিষ্কার করতে হবে। তা না হলে পুর আইন অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy