ছবি: সংগৃহীত।
রামকৃষ্ণ মিশনের ১০৮তম বার্ষিক সাধারণ সভা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। সভায় ২০১৬-’১৭ আর্থিক বছরের পরিচালন সমিতির কার্যবিবরণী পেশ করা হয়।
মিশন সূত্রের খবর, ওই আর্থিক বছরে সব থেকে বেশি খরচ করা হয়েছে শিক্ষা খাতে। মিশন পরিচালিত নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয় থেকে বিশ্ববিদ্যালয়, বিধিবহির্ভূত শিক্ষাকেন্দ্র, নৈশ বিদ্যালয়, কোচিং ক্লাস মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ ৩১ হাজার পড়ুয়া শিক্ষালাভ করেছে। এই বাবদ খরচ হয়েছে ৩১৩.৩৩ কোটি টাকা। খরচের ক্ষেত্রে শিক্ষার পরেই রয়েছে স্বাস্থ্য। ওই খাতে খরচ হয়েছে ২০৯.৫০ কোটি টাকা। মিশনের ১০টি হাসপাতাল, ৭৮টি ডিসপেনসারি, ৪১টি ভ্রাম্যমাণ চিকিৎসালয় ও ৮৩৪টি স্বাস্থ্য শিবিরের মাধ্যমেও উপকৃত হয়েছেন প্রায় ৭০ লক্ষ ৬৯ হাজার মানুষ। এছাড়াও গরীব ছাত্রদের আর্থিক সাহায্য প্রদান, গ্রামীণ বিকাশ ও উন্নয়ন, ত্রাণ, পুর্নবাসনের কাজেও ওই আর্থিক বছরে কয়েক কোটি টাকা খরচ করেছে মিশন।
ওই আর্থিক বছরে বিভিন্ন পুরস্কার ও সম্মানও পেয়েছে রামকৃষ্ণ মিশনের বিভিন্ন কেন্দ্র। যেমন, ‘ইন্ডিয়ান অ্যাডাল্ট এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন’ প্রাপ্তবয়স্কদের সাক্ষরতার প্রসারের জন্য নরেন্দ্রপুর কেন্দ্রের লোকশিক্ষা পরিষদকে ‘নেহরু সাক্ষরতা পুরস্কার’ প্রদান করেছে। এ ছাড়াও রাঁচী মোরাবাদী আশ্রম, নরেন্দ্রপুর ব্লাইন্ড বয়েজ অ্যাকাডেমি, রাজামহেন্দ্রভারম কেন্দ্রও পেয়েছে পুরস্কার ও সম্মান। এছাড়াও মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়র, দিল্লির বসন্তবিহার, ওডিশার কটক, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান, কেরলের কায়ামকুলাম, বাংলাদেশের চাঁদপুরে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের নতুন শাখাকেন্দ্র শুরু করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy